মানবাধিকার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বরিশালে “নাগরিকতা” শীর্ষক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার নগরীর আমির কুটির লেনে আভাস প্রশিক্ষণ কক্ষে আয়োজিত এই সভায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সচিবরা অংশগ্রহণ করেন।
সভায় বক্তারা বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে মানবাধিকার চর্চা বৃদ্ধি, নারী ও যুবকদের অংশগ্রহণ, এবং সেবাপ্রাপ্তিতে জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ উন্নয়নের অন্যতম শর্ত। বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নের জন্য রাষ্ট্র ও নাগরিক সমাজের যৌথ উদ্যোগ প্রয়োজন।
“জবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের নারী, পুরুষ ও অন্যান্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা বৃদ্ধি”—এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে “নাগরিকতা” প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘আভাস’। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এর কারিগরি সহায়তায় বরিশালে এই প্রকল্পের আওতায় দিনব্যাপী অবহিতকরণ সভা ও উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন আভাসের প্রোগ্রাম ডাইরেক্টর (কমিউনিকেশন) শহিদুল ইসলাম। তিনি নাগরিকতা প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য উপস্থাপন করেন। সভায় স্বাগত বক্তব্য ও সঞ্চালনা করেন আভাসের প্রোগ্রাম ডাইরেক্টর আফরোজা বিলকিস।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হাসান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন—মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর বরিশালের উপপরিচালক মেহেরুন নাহার মুন্নি, উপজেলা মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান, চরবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল আলম, সায়েস্তাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল কবির, কাউনিয়া থানার এসআই হরজিৎ মণ্ডল, শেবাচিম হাসপাতালের ওসিসি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই আব্দুল জলিল, কোতোয়ালি থানার এএসআই রুমা পারভীন, সৈয়দা মজিদুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিলীপ কুমার বিশ্বাস, টুঙ্গিবাড়িয়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান নূর হোসেন, মথুরানাথ পাবলিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক মামুন হোসাইন এবং বরিশাল সিটি করপোরেশন ও সদর উপজেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের প্রধান, গণমাধ্যমকর্মী, আইন সহায়তা কেন্দ্রের অ্যাডভোকেট, আভাসের নারী সহায়তা কেন্দ্রের কর্মী ও বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।
সভায় বক্তারা বলেন, রাষ্ট্রীয় সেবা নিশ্চিত করতে হলে নাগরিক সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য। তারা আরও জানান, আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) নিয়মিতভাবে নাগরিক সমাজের সঙ্গে মতবিনিময়ের মাধ্যমে মানবাধিকার ও জবাবদিহিতার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে কাজ করছে।
ইএইচ