রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার সাওরাইল গ্রামে যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ ও ডাকাতির সরঞ্জামসহ পাঁচ সদস্যের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাতচক্রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া সবাই ‘মজনু গ্রুপ’ নামে পরিচিত একটি চিহ্নিত সশস্ত্র ডাকাত ও চাঁদাবাজ দলের সক্রিয় সদস্য।
শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রাজবাড়ী আর্মি ক্যাম্পের একটি দল ও কালুখালী থানা পুলিশ যৌথভাবে এ অভিযান চালায়।
গ্রেপ্তাররা হলেন—মো. মজিবুর রহমান, সাজেদা বেগম, আবু সায়েম, মো. সুলতান আলী মোল্লা ও জসিম মণ্ডল। অভিযানকালে মজিবুর রহমানের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় একটি ৯ মিমি পিস্তল (মেড ইন ইউএসএ), একটি ম্যাগাজিন, ১৫ রাউন্ড গুলি, তিনটি ওয়ান শুটার বন্দুক, দুটি ছুরি, একটি হকি স্টিক, একটি ব্যাটন, কয়েকটি মোবাইল ফোন, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, চেকবই, এটিএম কার্ড, মদের বোতল ও একটি লেজার পয়েন্টার।
সেনাবাহিনীর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকার করেন, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে কালুখালী ও পাংশা এলাকায় সশস্ত্র ডাকাতি ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত। অভিযানের পর জব্দ করা অস্ত্র ও গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কালুখালী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
কালুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, ‘ডাকাতচক্রের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।’
স্থানীয়ভাবে আতঙ্ক ছড়ানো এই গ্রুপের সদস্যদের গ্রেপ্তারে এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
বিআরইউ