নরসিংদীতে মাদক নিয়ে বিরোধের জেরে শুভ মিয়া (২০) নামে এক যুবককে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
রোববার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পিবিআই নরসিংদীর পুলিশ সুপার এস.এম মোস্তাইন হোসেন।
নিহত শুভ নরসিংদী সদর উপজেলার শেখেরচর মোল্লাপাড়া এলাকার মানিক মিয়ার ছেলে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—সদর উপজেলার শেখেরচর মোল্লাপাড়ার হাবিবুর রহমান (২৪), কুড়েরপাড় এলাকার কবির হোসেন (২১) এবং পলাশ উপজেলার কুমারটেক এলাকার আহম্মদ নাঈম (২৪)। তারা সবাই পরস্পরের বন্ধু এবং একসঙ্গে মাদক সেবন করতেন।
পিবিআই পুলিশ সুপার জানান, গত ৬ এপ্রিল রাতে সদর উপজেলার খিদিরপুর টেকপাড়া ‘জনের মুখ’ ব্রিজের পাশে শুভ, হাবিবুর, কবির, নাঈম ও আরও একজন বন্ধু একত্রে মাদক সেবন করছিলেন। মাদক সংগ্রহ সংক্রান্ত বিষয়ে শুভ ও হাবিবুরের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে হাবিবুর শুভর গলা চেপে ধরে কিল-ঘুষি মারতে শুরু করে। পরে কবির, নাঈম ও অন্য বন্ধুও তাকে মারধর করে।
মারধরের একপর্যায়ে পাশে পড়ে থাকা ঘর বাঁধার একটি দড়ি দিয়ে তারা শুভর গলায় প্যাঁচ দেয় এবং দুই দিক থেকে টেনে ধরে। শুভ অচেতন হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে তার মৃত্যু হয়। পরে মরদেহ পাশের একটি ডোবায় ফেলে দিয়ে তারা সবাই পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে নরসিংদী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলার পর পিবিআই তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে।
২০ মে (মঙ্গলবার) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানার কাঁচপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে হাবিবুর রহমান ও কবির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ২১ মে চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানার নায়েরগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আহম্মদ নাঈমকে।
গ্রেপ্তারের সময় হাবিবুর রহমানের কাছ থেকে নিহত শুভর ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর তিনজনেই আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
পিবিআই নরসিংদীর পুলিশ সুপার এস.এম মোস্তাইন হোসেন জানান, পলাতক বাকি আসামিকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ইএইচ