পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ইউনিফর্ম তৈরির ঘটনায় চট্টগ্রাম শহরে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
সাধারণ মানুষ কুকি-চিনকে একটি পাহাড়ি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিনে থাকেন। সম্প্রতি চট্টগ্রাম নগরীর একটি পোশাক কারখানার সঙ্গে কেএনএফ-এর ইউনিফর্ম তৈরির চুক্তি হওয়ায় জনমনে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
চুক্তিটি ঘিরে প্রশ্ন উঠছে—সাধারণ মানুষের সঙ্গে এই সংগঠনের যোগাযোগের কারণ কী? তারা কি কোনোভাবে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদেরকে তথ্য সরবরাহ করছে? অনেকেই আশঙ্কা করছেন, শহরে ইউনিফর্ম তৈরির আড়ালে একটি ছদ্মবেশী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, প্রশাসন যদি এই বিষয়টি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে না আনে, তাহলে পুরো চট্টগ্রাম হুমকির মুখে পড়তে পারে।
গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন নয়ারহাট এলাকার ‘রিংভো অ্যাপারেলস’ নামের একটি পোশাক কারখানা থেকে কেএনএফ-এর জন্য তৈরি করা ২০ হাজার ৩০০ পিস ইউনিফর্ম জব্দ করেছে পুলিশ।
এই ঘটনায় কারখানার মালিক, পোশাক তৈরির সঙ্গে যুক্ত এক কর্মী এবং মধ্যস্থতাকারী—এই তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া চারজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে, চলতি বছরের মার্চ মাসে গোলাম আজম ও নিয়াজ হায়দার নামের দুই ব্যক্তি মংহ্লাসিং মারমা ওরফে মং-এর কাছ থেকে দুই কোটি টাকার চুক্তিতে কেএনএফ-এর ইউনিফর্ম তৈরির কাজ নেন। কেএনএফ সদস্যরাই ইউনিফর্ম তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় কাপড় সরবরাহ করেন। চলতি মাসেই পোশাক সরবরাহ করার কথা ছিল।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, এ ঘটনার পর কারখানাটির সাম্প্রতিক কার্যক্রম, ব্যাংক লেনদেন এবং সংশ্লিষ্টদের যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গভীরভাবে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
ইএইচ