স্বাস্থ্য কর্মীদের ভাতা উত্তোলনে ঘুষ আদায়: বদলি ঠেকাতে গণস্বাক্ষর আদায়

নোয়াখালী প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২৫, ০৪:১৭ পিএম
স্বাস্থ্য কর্মীদের ভাতা উত্তোলনে ঘুষ আদায়: বদলি ঠেকাতে গণস্বাক্ষর আদায়

নোয়াখালী সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ের সাবেক পরিসংখ্যানবিদ ও সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মহি উদ্দিনের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যকর্মীদের ‘শ্রান্তি বিনোদন ভাতা’ উত্তোলনের সময় ঘুষ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এ সংক্রান্ত একটি অডিও ক্লিপ ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, সম্প্রতি সদর উপজেলার বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ রেখে সিএসসিপি ও স্বাস্থ্যসহকারীদের জোরপূর্বক অফিসে ডেকে এনে একটি বদলি আদেশ বাতিলের দাবিতে গণস্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, মহি উদ্দিন চাকরিতে যোগদানের পর থেকেই প্রাপ্য ভাতাদি উত্তোলনের সময় কর্মচারীদের কাছ থেকে ঘুষ আদায় করে আসছেন। কেউ ঘুষ দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের নানা অজুহাতে হয়রানি করা হয়। 

সর্বশেষ ‘শ্রান্তি বিনোদন ভাতা’ উত্তোলনের সময় প্রত্যেকের কাছ থেকে ১৫০০ থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত ঘুষ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক আব্দুল রহিম বলেন, “আমি নিজেই দেখেছি যে, ১৯ মে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ রেখে সিএসসিপিদের নিয়ে মহি উদ্দিনের অফিসে মিটিং করে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়েছে। 

এ ঘটনায় শাহিদা আক্তার, কাদির হানিফ ও ফাতেমা আক্তারকে অনুপস্থিত থাকার কারণে নোটিশও দেওয়া হয়েছে। মহি উদ্দিন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত এবং বদলির পরও সদরে থেকে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।”

অভিযোগের বিষয়ে মহি উদ্দিন নিজে বলেন, “আমি কাউকে ডেকে এনে গণস্বাক্ষর নেইনি। আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়পত্র না দেওয়ায় আমি এখনও পদে বহাল আছি। অডিও ক্লিপের বিষয়ে আমি কিছু জানি না এবং কাউকেও ঘুষ দাবি করিনি।”

এ বিষয়ে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাঈমা নুসরাত বলেন, “আমি বর্তমানে ছুটিতে রয়েছি। এসব বিষয়ে অবগত নই। বদলির আদেশ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দিয়েছে, এটি আমার এখতিয়ারভুক্ত নয়।”

ইএইচ