আষাঢ় এখনো আসেনি, কিন্তু সিলেটে রোজই ঝরছে বৃষ্টি। আর এই বৃষ্টিতেই জেগে উঠছে পুরোনো আতঙ্ক—পাহাড়ধস। নগর ও আশপাশের অন্তত কয়েক হাজার মানুষ বসবাস করছেন টিলার পাদদেশে, যার বড় অংশই ঝুঁকিপূর্ণ।
পীরমহল্লা, হাওলাদারপাড়া, আখালিয়া, তারাপুর, মেজরটিলা, খাদিমনগর, ইসলামপুর, বালুচরসহ সিলেট মহানগরের একাধিক এলাকায় পাহাড় বা টিলার নিচে ঘরবাড়ি গড়ে উঠেছে। একইভাবে জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, গোলাপগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারসহ বিভিন্ন উপজেলায় পাহাড়ঘেঁষে গড়ে উঠেছে ঘনবসতি।
পরিবেশ আইনবিদদের সংগঠন বেলা’র হিসাবে, সিলেট জেলা ও মহানগরে রয়েছে প্রায় ৪০০ পাহাড়-টিলা। এর অর্ধেকের বেশি এলাকায় মানুষ বাস করছে জীবন ঝুঁকি নিয়ে।
স্মরণ করিয়ে দিতে হয়, গত বছর সিলেটের চামেলীবাগে ভূমিধসে একই পরিবারের তিনজন প্রাণ হারান। এরপরও অধিকাংশ ঝুঁকিপূর্ণ বসতি সরেনি।
এই অবস্থায় আবারও বর্ষাকাল ঘনিয়ে আসছে। জেলা প্রশাসন বলছে, তারা তালিকা তৈরি করে প্রচারণা চালাচ্ছে।
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আনোয়ারুজ্জামান বলেন, ‘সিটি করপোরেশন ও উপজেলার কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রচারণার পাশাপাশি প্রয়োজনে উচ্ছেদের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাই রাফিন সরকার জানান, ‘মাইকিং ও গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মানুষকে সরানোর প্রচেষ্টা চলছে।’
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোশনুর রুবাইয়াৎ বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি আছে। মানুষকে সতর্ক করছি। তাদের সরে যাওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
তবে সচেতন নাগরিকরা বলছেন, ‘প্রতি বছরই একই দৃশ্য। দুর্ঘটনা না ঘটলে তৎপরতা দেখা যায় না।’ তাঁদের প্রশ্ন, এবারও কি তেমনটাই হবে?
বিআরইউ