মাগুরা সদর উপজেলার রাউতাড়া গ্রামে চাঁদা না পেয়ে সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
গত ২৬ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে ঘরে ঢুকে নারীদের ওপর চড়াও হয় এবং বাড়িঘর ও একটি ইজিবাইক ভাঙচুর করে প্রায় ৬ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধন করে।
ভুক্তভোগী মো. বাকের বিশ্বাস (৪৫) মাগুরা সদর থানায় দায়ের করা অভিযোগে উল্লেখ করেন, অভিযুক্ত ২৩ নম্বর আসামি রোকনের হুকুমে বাকিরা তার চাচা বজলুর কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে চাচাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।
হামলার দিন সন্ধ্যায় রোকনসহ ২৬ জনের একটি সশস্ত্র দল রামদা, চাইনিজ কুড়াল, লোহার রড ও লাঠিসোটা নিয়ে বাড়িতে হামলা চালায়। চাচা আকবর বিশ্বাসকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়, পিতা মকবুল বিশ্বাসের হাতে কুড়ালের উল্টো পিঠ দিয়ে আঘাত করে হাড় ভেঙে ফেলা হয়। বাকের বিশ্বাস নিজেও মাথায় লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হন। চাচা আজগরের হাত ভেঙে দেওয়া হয় এবং ছোট ভাইয়ের স্ত্রী সাবানাকেও কোপানো হয়।
এছাড়া অভিযুক্তরা মিহির ও মৃনাল কান্তি বিশ্বাসের নেতৃত্বে বাড়িঘর ভাঙচুর করে এবং একটি ইজিবাইক নষ্ট করে দেয়। ভুক্তভোগীদের ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে হামলাকারীরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে এলাকা ত্যাগ করে।
খবর পেয়ে মাগুরা সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার পর চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় কিছুটা বিলম্বে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
মাগুরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইএইচ
আমার সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
