বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে ভোলার লালমোহন উপজেলায় প্রবল বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ, রমাগঞ্জ, ধলীগৌরনগর, চরভূতা এবং পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নে এ পর্যন্ত ২০টি বসতঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে।
এছাড়া ৫০০টিরও বেশি বসতঘর ও স্থাপনা আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের সৈয়দাবাদ এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে দুটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। টানা জোয়ার ও অতিবৃষ্টির কারণে চরকচুয়াখালী ও পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু অংশ পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে করে প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।
নিম্নচাপের প্রভাবে ভেসে গেছে অন্তত ৫০টি পুকুরের মাছ। অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, ফলে দুর্ভোগ বেড়েছে সাধারণ মানুষের।
চরভূতা ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকজন বাসিন্দা—গোপাল চন্দ্র রবিদাস, উকিন্দ চন্দ্র রবিদাস এবং সুবাশ চন্দ্র মজুমদার জানান, তাঁরা এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে বসতঘর নির্মাণ বা মেরামত করেছিলেন, যা এই দুর্যোগে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। এখন তাঁদের ঘর পুনর্নির্মাণের সামর্থ্য নেই। তাঁরা সরকারের জরুরি সহায়তা কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহ আজিজ বলেন, “ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা দ্রুত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে দ্রুত সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে।”
ইএইচ