দৌলতপুরে নারী-পুরুষসহ ৯ বাংলাদেশিকে পুশ-ইন

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ৩১, ২০২৫, ০৬:৪৩ পিএম
দৌলতপুরে নারী-পুরুষসহ ৯ বাংলাদেশিকে পুশ-ইন

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্ত দিয়ে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ৯ জন বাংলাদেশি নাগরিককে পুশ-ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। 

শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ভাগজত ঘাট এলাকায় তাদের হেফাজতে নেয় ৪৭ বিজিবি।

পুশ-ইনকৃতদের মধ্যে রয়েছেন ৪ জন পুরুষ, ২ জন নারী, ২ জন কিশোর এবং ১ জন শিশু। 

বিকেল ৫টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, ৪৭ বিজিবির অধীনস্থ আশ্রায়ন বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার ১৫৪ থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভাগজত ঘাট এলাকায় একটি নৌকা থেকে ৯ জনকে নামতে দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। পরে তারা বিজিবিকে বিষয়টি জানালে টহল দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের হেফাজতে নেয়।

জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দুটি পৃথক পরিবার এবং প্রায় ৪ বছর আগে কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন। সেখানে উত্তর-পশ্চিম দিল্লির রামপুরা এলাকায় একটি ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।

সম্প্রতি ভারতে অবৈধ বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে ধরপাকড় বেড়ে যাওয়ায় এবং আত্মসমর্পণকারীদের হয়রানি না করার সরকারি ঘোষণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে তারা স্বেচ্ছায় দেশে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করে। এরপর ভারতীয় পুলিশের মাধ্যমে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং শুক্রবার (৩০ মে) রাতে জলঙ্গি থানার নিকটবর্তী একটি বিএসএফ ক্যাম্প থেকে কাঁটাতারবিহীন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। পরে তারা পায়ে হেঁটে ও মোটরসাইকেলযোগে ভাগজত ঘাটে পৌঁছায়।

বর্তমানে তারা বিজিবির হেফাজতে রয়েছেন এবং শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন বলে জানানো হয়েছে।

ঘটনার পরপরই সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সীমান্ত পিলার ৮৫/১০-এস–এর কাছে বিজিবির চর-চিলমারী কোম্পানি ও ভারতের ১৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের জলঙ্গি কোম্পানির মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবি পুশ-ইনের প্রতিবাদ জানালে বিএসএফ তাদের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে। তবে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হস্তান্তরের আশ্বাস দেয়।

ইএইচ