মাগুরা শহরের হাসপাতালপাড়ায় অবস্থিত আশ-শেফা প্রাইভেট হাসপাতালে মোবাইল কোর্ট অভিযান চালিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ ও অনুমোদনহীন ওষুধ ও কসমেটিকস পণ্য জব্দ করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির অভিযোগে হাসপাতাল মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং প্রতিষ্ঠানটি সাময়িকভাবে সিলগালা করা হয়েছে।
রোববার (১ জুন) বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে এ অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাজ্জাদ হোসেন। অভিযানে অংশ নেন জেলা প্রশাসন, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর, সেনাবাহিনী ও পুলিশ।
অভিযানে হাসপাতালের ফার্মেসি ও ওষুধ সংরক্ষণাগারে তল্লাশি চালিয়ে সেফট্রিয়াক্সোন ইনজেকশন (১০টি), ওমেপ্রাজল (৬টি), লিতোভাস্টিন সিরাপ, এবং ৩৮টি অনুমোদনহীন কসমেটিকস পণ্য জব্দ করা হয়। জব্দকৃত অধিকাংশ পণ্য মেয়াদোত্তীর্ণ এবং লাইসেন্সবিহীন উৎস থেকে সংগ্রহ করা, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ বলে কর্মকর্তারা জানান।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘প্রাইভেট হাসপাতাল যদি এভাবে অব্যবস্থাপনায় চলে, তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে? জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
হাসপাতালের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বৈধ ট্রেড লাইসেন্স (নং: ৮৪৮৮-০০) থাকলেও, ওষুধ ব্যবস্থাপনায় নজরদারির ঘাটতি এবং আইনবহির্ভূত কার্যক্রমের কারণে জরিমানা ও সাময়িক বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অভিযানে ঔষধ ও প্রসাধনী আইন, ২০২৩-এর ৪০(ক) ধারা অনুসারে মালিক মো. আবু বকরকে (পিতা: মৃত ছবেদ আলী, ঠিকানা: হাসপাতালপাড়া, মাগুরা) এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে তাঁর বিরুদ্ধে কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। মামলা নম্বর: ১৭৫/২০২৫।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, জেলায় অন্যান্য বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকেও পর্যায়ক্রমে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালিত হবে।
স্থানীয়রা প্রশাসনের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, যদি নিয়মিত এমন অভিযান হয়, তবে মাগুরার স্বাস্থ্যসেবা অনেক বেশি নিরাপদ হবে।
বিআরইউ