মাদকাসক্ত ছেলের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ছেলেকে হত্যা করে লাশ বস্তাবন্দি করে ড্রেনে ফেলে দেন বাবা; এ কাজে তাকে সহযোগিতা করেন মা। এমনই লোমহর্ষক তথ্য স্বীকার করেছেন নিহত জনি সরকারের বাবা করুনা সরকার ও মা অসিতা রানী সরকার।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ওসি শরিফুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, পিতা করুনা সরকার তার স্ত্রী, ছেলে জনি সরকার ও দুই মেয়েকে নিয়ে শিয়ারচর লালখা এলাকার জামাল মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তিনি ফতুল্লা স্টেডিয়ামের পাশে নৈশপ্রহরীর কাজ করতেন।
জনি সরকার এলাকায় বখাটে ও মাদকাসক্তদের সঙ্গে চলাফেরা করতেন এবং প্রায়ই মাদকের টাকার জন্য বাবা-মাকে মারধর করতেন। ছেলের এসব নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন তার পিতা-মাতা।
গত ১৬ জুন রাতে জনি আবারও মাদকের টাকার জন্য বাবা-মাকে মারধর করেন। পরে রাতের খাবার শেষে জনি ঘুমিয়ে পড়লে তার বাবা রুটি বানানোর বেলুন (বেলন) দিয়ে মাথা ও দেহের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর জনির লাশ একটি বস্তায় ভরে ড্রেনে ফেলে দেন তারা। এ কাজে স্ত্রী অসিতা রানী তাকে সহযোগিতা করেন।
পরদিন সকালে ড্রেনে একটি বস্তাবন্দি লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। ওই রাতেই জনির বাবা করুনা সরকার অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণসহ তদন্তের মাধ্যমে হত্যার রহস্য উদঘাটন করে। একপর্যায়ে ১৮ জুন রাতে জনির বাবা-মাকে আটক করা হলে তারা পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
ইএইচ
আমার সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
