নতুন স্বামী–স্ত্রীর বনিবনা হচ্ছে না, ঘটককে গাছে বেঁধে মারধর

আমার সংবাদ ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২৫, ০৮:৩৮ পিএম
নতুন স্বামী–স্ত্রীর বনিবনা হচ্ছে না, ঘটককে গাছে বেঁধে মারধর

বিয়ের পর “স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা না হওয়ায়” মজিবর শেখ (৬৫) নামের এক ঘটককে গাছে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে ওই ব্যক্তি বগুড়ার শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

রোববার বগুড়ার শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের সূত্রাপুর গোয়ালপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তির নাম মজিবর শেখ (৬৫)। তিনি সুঘাট ইউনিয়নের ওমরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় মজিবরের ছোট ভাই নজরুল শেখ শেরপুর থানায় চারজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাজিদ হাসান সিদ্দিকী বলেন, “গত রবিবার রাতে মজিবর শেখকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার তাকে শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তার শরীরে মারধরের একাধিক চিহ্ন রয়েছে।”

জানা গেছে, গত ৯ জুন সুঘাট ইউনিয়নের সূত্রাপুর গোয়ালপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের মেয়ে সুমাইয়া খাতুনের (২১) সঙ্গে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার ঘাসুরিয়া গ্রামের মো. মুন্নার (২৮) বিয়ে হয়। বিয়ের ঘটক ছিলেন মজিবর শেখ। সেদিনই আনুষ্ঠানিকভাবে বর ও তার পরিবারের সদস্যরা কনে সুমাইয়াকে নিয়ে যান।

মারধরের বিষয়ে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে মজিবর শেখ বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “রোববার সন্ধ্যায় জহুরুল ইসলাম ও তার পরিবারের লোকজন আমাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান। পরে তারা অভিযোগ করেন, বিয়ের পর মেয়ে-জামাইয়ের মধ্যে বনিবনা হচ্ছে না। এরপর তারা আমাকে একটি গাছের সঙ্গে আমাকে বেঁধে লাঠি দিয়ে হাতে, পায়ে ও মাথায় মারধর করেন। সন্ধ্যা ৭টা থেকে অন্তত এক ঘণ্টা ধরে মারধর করা হয়। পরে আমার ভাই নজরুল শেখ এসে আমাকে উদ্ধার করেন।”

এ বিষয়ে কনের বাবা জহুরুল ইসলাম জানান, মেয়েকে তুলে দেওয়ার দুই দিন পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেয়ে ও তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ শুরু করেন। শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাদের মেনে নিতে পারছেন না। বিয়ের আগে ঘটক মজিবর শেখ জানিয়েছিলেন ছেলের পরিবার খুব ভালো। এ কারণে তার পরিবারের লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে ঘটককে বাড়িতে ডেকে নিয়ে এসে একটু মারধর করেছেন।

মজিবর শেখের ছেলে মো. সোনাউল্লাহ শেখ বলেন, তার বাবা কোনো পেশাদার ঘটক নন; টাকার বিনিময়ে ঘটকালিও করেন না। উপহারের কথা বলে ডেকে নিয়ে গিয়ে যেভাবে নির্যাতন চালানো হয়েছে, তা অমানবিক।

শেরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তোফাজ্জল হোসেন বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছি। প্রাথমিক তদন্তে মারধরের সত্যতা মিলেছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ইএইচ