পরকীয়ার জেরে ইউপি সদস্য ও ভাবিকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ১

ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০২৫, ০৬:৫৫ পিএম
পরকীয়ার জেরে ইউপি সদস্য ও ভাবিকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ১

পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলায় পরকীয়ার জেরে ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম (৫০) ও তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী মুকুল বেগম (৫৫) কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় শহিদুল ইসলামের স্ত্রী রেহেনা বেগমকেও কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। 

ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার রাত আনুমানিক ১১টার দিকে উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের পশ্চিম চর বলেশ্বর গ্রামে।

নিহত শহিদুল ইসলাম চন্ডিপুর ইউনিয়নের পশ্চিম চর বলেশ্বর ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক আহ্বায়ক ছিলেন। শনিবার সকালে নিহত শহিদুল ইসলামের বড় ভাই মোর্তুজা হাওলাদার বাদী হয়ে ইন্দুরকানী থানায় ৬ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ছাড়াও অজ্ঞাত ২ জনকে আসামি করা হয়েছে।

নিহত শহিদুল ইসলামের মেয়ে, অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সুমনা আক্তার তোহা জানান, রাত ১১টার পর তার বাবা ফকিরহাট বাজার থেকে এসে ঘরের সামনের পুকুর ঘাটে বসেছিলেন। এ সময় পার্শ্ববর্তী ইউনুস শেখ তার লোকজন নিয়ে ওঁত পেতে ছিলেন। তারা হঠাৎ করে এসে আমার বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করে। চিৎকার শুনে আমার মা ও চাচী বাইরে আসলে তাদেরও কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। এর মধ্যে কাকী মারা যান, আর মাকে উদ্ধার করে রাতেই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রবাসী ইউনুসের স্ত্রীর সঙ্গে ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলামের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সন্দেহ ছিল। এই কারণে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া এলাকাবাসী জানায়, শহিদুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যার পর তার পুরুষাঙ্গও কেটে ফেলা হয়েছে।

ইন্দুরকানী থানার ওসি মারুফ হোসেন জানান, পরকীয়ার জের ধরে প্রবাসী ইউনুস শেখ ও তার সহযোগীরা ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম ও তার ভাইয়ের স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। শহিদুল ইসলামের স্ত্রীকেও কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। ঘটনার পর ইউনুস শেখের বড় ভাই রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিহত দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে।

ইএইচ