কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন করে বাহিরচর ইউনিয়নের প্রায় ৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। মসলেমপুর, টিকটিকি পাড়া ও মুন্সিপাড়া এলাকায় এই ভাঙনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে সরকারি স্থাপনা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, ব্যক্তি মালিকানাধীন বসতবাড়ি ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসহ গুরুত্বপূর্ণ বেড়িবাঁধ।
এই পরিস্থিতিতে সোমবার (২৯ জুন) সকাল ১১টায় ভাঙনকবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও ভেড়ামারা উপজেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
পরিদর্শন শেষে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আব্দুল হামিদ সাংবাদিকদের বলেন, “পদ্মা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় বাহিরচর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে এবং দ্রুত ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, “ভাঙনকবলিত এলাকাগুলো আমরা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। মানুষ যাতে ক্ষতির শিকার না হয়, সে জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
স্থানীয়রা জানান, পদ্মা নদীর ভয়াবহ ভাঙনের কারণে ইতোমধ্যে একাধিক এলাকার ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী গত ২৯ জুন ভাঙনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন এবং দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন—
মো. আব্দুল হামিদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন সার্কেল, বাপাউবো।
মো. রাশিদুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী, কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বিভাগ।
আল আমীন, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, ভেড়ামারা পানি উন্নয়ন উপ-বিভাগ।
মো. শফিউল আলিম সাগর, উপ-সহকারী প্রকৌশলী/শাখা কর্মকর্তা, বাপাউবো, ভেড়ামারা।
মো. রোকনুজ্জামান ও অপূর্ব কুমার দাস, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, আমলা ও কুষ্টিয়া সদর।
রফিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), ভেড়ামারা।
আনোয়ার হোসাইন, সহকারী কমিশনার (ভূমি), ভেড়ামারা।
পদ্মা নদীর এই অব্যাহত ভাঙন এলাকাবাসীর জীবন ও জীবিকাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করলে জনগণের আতঙ্ক কিছুটা হলেও প্রশমিত হবে—এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।
আরএস