প্রবল বর্ষণে আবারও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে যশোরের ভবদহ এলাকায়। ‘যশোরের দুঃখ’ নামে পরিচিত এ জনপদে গত বছরের মতো এবারও ভয়াবহ জলাবদ্ধতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
চলতি মৌসুমে যশোর অঞ্চলে অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর ফলে ভবদহ এলাকার বিভিন্ন স্থান নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে স্থানীয় মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। দিন কাটছে উৎকণ্ঠায়, রাত পার হচ্ছে নির্ঘুম।
গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে নওয়াপাড়া শহরের সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে যায়। যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে, কার্যত অচল হয়ে পড়েছে জনজীবন। মুষলধারে বৃষ্টির সময় আশ্রয়ের জায়গা খুঁজে লোকজন ভিড় করছে দোকানের ছাউনি বা চালার নিচে। নওয়াপাড়া নৌবন্দরে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের লোড আনলোড কার্যক্রম।
শহরে কাজ সেরে ফিরতে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বৃষ্টির মধ্যে আটকে পড়ছেন মানুষ। কেউ কেউ ভিজেই রওনা দিচ্ছেন বাড়ির পথে।
খুলনার বিএল কলেজের শিক্ষার্থী সবুজ হালদার বলেন, মশিয়াহাটির পথে এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছি, বৃষ্টি থামার নাম নেই।
নওয়াপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী রহিম হেসেন জানান, বৃষ্টির কারণে ক্রেতা নেই বললেই চলে, ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যাপক প্রভাব পড়ছে।
এদিকে, বৃষ্টিতে ঘেরের পানি বেড়ে যাওয়ায় শঙ্কায় পড়েছেন মাছচাষিরা। সুন্দলী এলাকার লিয়াকত আলী বলেন, আগেই নেট কিনেছি, কিন্তু এখন ব্যবসায়ীরা সুযোগ বুঝে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে।
কোটা গ্রামের ঘের ব্যবসায়ী কামরুল হাসান জানান, ‘কয়েকশ’ বিঘা ঘের এখন হুমকির মুখে। পানি বাড়তেই থাকলে ঘের রক্ষা করা কঠিন হবে। আগের মতো আবার ভয়াবহ জলাবদ্ধতা দেখা দিতে পারে।
স্থানীয়দের দাবি, দীর্ঘমেয়াদি সমাধান না হলে ভবদহ অঞ্চলের এই সংকট বছরের পর বছর শুধু ঘনীভূতই হবে।
বিআরইউ