জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘বিএনপি এখন চাঁদাবাজদের দলে পরিণত হয়েছে। সন্ত্রাসীদের দল তৈরি হয়েছে। মুজিববাদের নতুন পাহারাদার হিসেবে তাদের আবির্ভাব ঘটেছে।’ সোমবার (১৪ জুলাই) বিকেলে পটুয়াখালী সার্কিট হাউজ সংলগ্ন হৃদয় তরুয়া চত্বরের পথসভা তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতি মানুষের যে সমর্থন, আস্থা ও উচ্ছ্বাস রয়েছে সেটি সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে। আমরা বলেছিলাম, মুজিববাদ বাংলাদেশের সংবিধানে বিভাজন তৈরি করেছে, রাষ্ট্রকে এগোতে দেয়নি। অথচ এখন বিএনপি সেই ৭২ সালের মুজিববাদী সংবিধান টিকিয়ে রাখতে চাইছে।’
নাহিদ আরও বলেন, ‘আমরা অনৈক্য বা বিভাজন চাই না। কিন্তু যদি কেউ জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, যদি কেউ জুলাইয়ের গণ অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় তবে তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো ঐক্য সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র এবং জুলাই সনদ আগামী ৩ আগস্ট ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে আদায় করে ছাড়ব। সেখানে আপনাদের সঙ্গে দেখা হবে।’
সভায় আরও বক্তব্য দেন— এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তর অঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস ইসলাম, যুগ্ম-আহ্বায়ক মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন, ডা. তাসনীম জারা, ডা. মাহমুদা মিতু, মশিউর রহমান প্রমুখ।
পদযাত্রা উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন এলাকায়, বিশেষ করে সার্কিট হাউজ থেকে শহরের প্রবেশদ্বার পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে নেতৃবৃন্দের ছবি সম্বলিত তোরণ, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড দিয়ে সাজানো হয়। শহীদ হৃদয় তরুয়া স্কয়ারে তৈরি করা হয় বিশাল মঞ্চ।
পথসভায় বক্তারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী তরুণদের সংগ্রামের কথা তুলে ধরেন এবং রাজনৈতিক ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। বক্তারা বলেন, দেশে একটি নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তুলতে এনসিপি জনগণের সঙ্গে আছে এবং থাকবে।
পথসভা শেষে এনসিপির নেতৃবৃন্দ পটুয়াখালী জেলা দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন এবং পরে বরগুনার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। একই সঙ্গে জুলাই আন্দোলনে শহীদ পরিবার ও আহতদের খোঁজ খবর নেন তারা।
বিআরইউ