ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মাসলিয়া গ্রামের সবজি বিক্রেতা মহিদুল ইসলামের নয় বছরের ছেলে নাঈম—যিনি স্থানীয় একটি স্কুলের তৃতীয়‑শ্রেণির ছাত্র—দু’দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে।
সোমবার দুপুরে বাড়ির পাশের বুড়ি ভৈরব নদীর হাসিলবাগ সেতু থেকে গোসলে নামতে বন্ধুরা সঙ্গে নিয়ে পানিতে লাফ দেয় নাঈম।
অন্যরা উঠে এলেও সে ভেসে ওঠেনি। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক খোঁজাখুঁজি করে ব্যর্থ হয়ে ঘটনাটি ফায়ার সার্ভিসকে জানান।
কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি দল প্রথমে চেষ্টা চালায়; পরে খুলনা থেকে আসা ডুবুরি দলও সন্ধ্যায় উদ্ধার অভিযানে যোগ দেয়। তবে রাত ৮টার দিকে অন্ধকার ও প্রবল স্রোতের কারণে তল্লাশি স্থগিত করা হয়।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সকাল থেকে আবারও অভিযান শুরু হয়। ডুবুরি দলের সদস্যরা জানান, নদীতে তীব্র স্রোত ও ঘন কচুরিপানার স্তর তল্লাশিতে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁদের ধারণা, স্রোতে ভেসে গিয়ে কোনো কচুরিপানার গাদার নিচে শিশুটির দেহ আটকে থাকতে পারে।
কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার রবিউল ইসলাম বলেন, “আমরা উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছি। অতিরিক্ত কচুরিপানার ফলে বারবার জাল ও সরঞ্জাম জট লেগে যাচ্ছে, তবু আমরা থামছি না—পরিবারের কাছে শিশুটিকে ফিরিয়ে দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছি।”
পরিবার ও এলাকাবাসীর আহাজারি চলছে; তাঁরা দ্রুত নাঈমের সন্ধান চান। বুধবার সকালেও উদ্ধার তৎপরতা চালানো হবে বলে উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন।
ইএইচ