কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল এলাকায় হাঁটু পানি

নজরুল ইসলাম মুকুল, কুষ্টিয়া প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২৫, ০৬:৪৩ পিএম
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল এলাকায় হাঁটু পানি

২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল চত্বর ও আশপাশের এলাকায় ভারী বর্ষণে সৃষ্টি হয়েছে চরম জলাবদ্ধতা। 

মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালের প্রধান ফটক, জরুরি বিভাগের সামনের সড়ক এবং আশপাশের এলাকা হাঁটু পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। এতে মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা।

কুমারখালীর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, আরও কয়েক দিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সোমবার গভীর রাত থেকে টানা বৃষ্টির কারণে হাসপাতাল চত্বরসহ শহরের বেশিরভাগ এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যায়। হাসপাতাল চত্বরের নিচু অবস্থান ও অকার্যকর ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে পানি দ্রুত নিষ্কাশন হতে পারছে না। ফলে রোগী ও স্বজনদের অনেককে যানবাহনে বা পায়ে হেঁটে পানির মধ্য দিয়েই হাসপাতালে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

দৌলতপুর থেকে আসা রোগীর স্বজন আমেনা খাতুন বলেন, "রোগী নিয়ে বহু কষ্ট করে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে এসেছি। কিন্তু চারদিকে পানি জমে থাকায় হাসপাতালে ঢুকতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।"

একই অভিযোগ করেন ভেড়ামারা থেকে আসা রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, "সকালে ভিজে ডাক্তারের কাছে গিয়েছি, এখন ঔষধ কিনতেও পানিতে ভিজতে হচ্ছে। দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না নিলে পুরো বর্ষা মৌসুমজুড়েই রোগী ও স্বজনদের দুর্ভোগ পোহাতে হবে।"

হাসপাতাল চত্বরে পানিতে ভিজে জুতা খুলে হাঁটতে দেখা গেছে নারী-পুরুষ ও শিশু রোগীদের। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি তাদের অভিযোগ, সঠিকভাবে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এমন দুরবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এদিকে শুধু হাসপাতাল এলাকা নয়, বৃষ্টির ফলে কুষ্টিয়া শহরের কোর্টপাড়া, সরকারি কলেজ এলাকা, কোর্ট স্টেশন, আমলাপাড়া, কুঠিপাড়া ও থানাপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে এবং অটো ও রিকশা ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়ায় সাধারণ মানুষ পড়েছে চরম ভোগান্তিতে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কুষ্টিয়া পৌরসভার গাফিলতির কারণেই জলাবদ্ধতার এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। যথাযথভাবে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হলে এমন দুর্ভোগ হতো না। তবে পৌরসভার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আর বৃষ্টি না হলে দ্রুত পানি নেমে যাবে এবং ড্রেন পরিষ্কারের কাজ চলমান রয়েছে।

ইএইচ