গোপালগঞ্জে সহিংসতা: সন্ধ্যা পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ

আমার সংবাদ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ১৭, ২০২৫, ১০:৫৭ এএম
গোপালগঞ্জে সহিংসতা: সন্ধ্যা পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৪ জন নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ৯ জনসহ আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক।

সহিংসতার পর জেলাজুড়ে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বুধবার (১৬ জুলাই) রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জ জেলায় কারফিউ জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

বুধবার সকাল থেকে এনসিপির পদযাত্রা ঘিরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এনসিপির নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছেন, তাদের মিছিল ও সমাবেশে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাধা দিয়ে একাধিকবার হামলা চালান।

বেলা ২টার কিছু পর এনসিপির শীর্ষ নেতারা সমাবেশস্থলে পৌঁছালে আবারও হামলার শিকার হন তারা। ফেরার সময়ও নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা জেলা পুলিশ কার্যালয়ে আশ্রয় নেন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী, র‍্যাব ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়। সন্ধ্যায় সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যান ব্যবহার করে এনসিপির নেতাদের নিরাপদে গোপালগঞ্জ থেকে খুলনায় সরিয়ে নেওয়া হয়।

এনসিপি নেতারা অভিযোগ করেছেন, হামলাকারীরা বিভিন্ন মসজিদের মাইক ব্যবহার করে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। একইসঙ্গে তারা স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের ‘নীরব ভূমিকা’ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।

ঘটনার প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকার শাহবাগসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।

এ ঘটনার প্রতিবাদে সারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ সড়কপথে অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

এক ফেসবুক পোস্টে সংগঠনটির সভাপতি রশিদুল ইসলাম রিফাত লিখেছেন, “গোপালগঞ্জে জুলাই বিপ্লবের নেতাদের ওপর বর্বর হামলার প্রতিবাদে সারাদেশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে। দেশের সব ইউনিটকে স্থানীয় ছাত্রসংগঠন, রাজনৈতিক দল ও সাধারণ ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে এই কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো হচ্ছে।”

ইএইচ