বরিশাল টেক্সটাইল কলেজে অনির্দিষ্টকাল শাটডাউন

বরিশাল ব্যুরো: প্রকাশিত: জুলাই ২৪, ২০২৫, ০৭:২৯ পিএম
বরিশাল টেক্সটাইল কলেজে অনির্দিষ্টকাল শাটডাউন

পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ, ল্যাব আধুনিকায়ন ও একাডেমিক পরিবেশ উন্নয়নের দাবিতে বরিশাল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে টানা পাঁচদিন ধরে চলছে অনির্দিষ্টকালীন শাটডাউন।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) আন্দোলনের পঞ্চম দিনে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে ক্লাস-পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ ঘোষণা করেন।

'সাধারণ শিক্ষার্থী' ব্যানারে আয়োজিত এই আন্দোলনে শত শত শিক্ষার্থী অংশ নেন। দাবিগুলো আদায়ে এখন তারা বিক্ষোভে ফুঁসছেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষক সংকট, জরাজীর্ণ ল্যাব ও একাডেমিক বিশৃঙ্খলার ভোগান্তিতে রয়েছে। বারবার আশ্বাস পেলেও বাস্তব কোনো পরিবর্তন হয়নি। এবার তারা লিখিত প্রতিশ্রুতিও মানতে নারাজ, চাইছেন দৃশ্যমান পরিবর্তন।

আন্দোলনের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন। তাদের অভিযোগ, গত বছরও শিক্ষক নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু কিছুই বাস্তবায়ন হয়নি। সর্বশেষ ২২ জুলাই অনুষ্ঠিত বুটেক্স, বস্ত্র অধিদপ্তর ও অধিভুক্ত কলেজগুলোর ত্রিপক্ষীয় সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নেও দেখা গেছে চরম গড়িমসি।

শুধু বরিশাল নয়, এই আন্দোলনের প্রভাব ইতিমধ্যে বুটেক্সের অধিভুক্ত অন্যান্য আটটি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

শিক্ষার্থীদের সাত দফা দাবি—
১. অবিলম্বে পর্যাপ্ত শিক্ষক ও ল্যাব রক্ষণাবেক্ষণে জনবল নিয়োগ
২. তিন কর্মদিবসের মধ্যে সংশোধিত নিয়োগবিধি অনুমোদন
৩. ত্রিপক্ষীয় সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ব্যর্থদের অপসারণ
৪. আদর্শ কাঠামো অনুযায়ী অধিভুক্তি নবায়ন
৫. নির্ধারিত ক্যালেন্ডারে ক্লাস-পরীক্ষা ও ফলাফল প্রকাশ
৬. কলেজসমূহে পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ
৭. সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা চালু ও রি-টেক ফি কমানো

কলেজের অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুল কাদের বেপারী বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক। আমরা বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছি এবং দ্রুত বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এ ন্যায্য আন্দোলনের দ্রুত সমাধান না হলে দেশের টেক্সটাইল শিক্ষাব্যবস্থা ও এর প্রতি শিক্ষার্থীদের আস্থার সংকট তৈরি হতে পারে।

বিআরইউ