ভেড়ামারায় স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, আটক ৫

কুষ্টিয়া  জেলা ও ভেড়ামারা প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০২৫, ০৪:০৯ পিএম
ভেড়ামারায় স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, আটক ৫

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। 

শনিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টায় উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের মসলেমপুর এলাকায় কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের পাশে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে এবং পুলিশ অভিযানে পাঁচজনকে আটক করেছে।

পুলিশ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, ঘটনার রাতে ভুক্তভোগী নারী (২৬) ও তার স্বামী বারো মাইল এলাকার একটি হোটেলে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে মসলেমপুর এলাকায় একদল যুবক তাদের গতিরোধ করে পাশের একটি লিচু বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে স্বামীকে বেঁধে মারধর করে এবং ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে ভেড়ামারা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেয় এবং তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করে। 

আটককৃতরা হলেন—মসলেমপুর গ্রামের কালু প্রামাণিক (৪৬), ষোলদাগ এলাকার মুর্শিদ শেখ (৪৫), টিটু মণ্ডল ওরফে টিপু (৪২), এজাজুল (৪২) ও ভ্যানচালক রুবেল আলী (২৪)।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা যায়, ভুক্তভোগী নারী ভেড়ামারা উপজেলার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় হোটেলকর্মী।

এদিকে, ধর্ষণের শিকার ওই নারী ও তার স্বামীকে ঘটনার রাতেই থানায় নেওয়া হলেও সকাল ৯টা পর্যন্ত তাদের সেখানেই অবস্থান করতে হয়। দীর্ঘ সময়েও তাকে কোনো চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠানো হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে, যা নিয়ে জনমনে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রব তালুকদার জানান, ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলা দায়ের হয়েছে। আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নারীকে উদ্ধার করে। তিনি ধর্ষণের অভিযোগ করলে তার ভিত্তিতে মামলা গ্রহণ ও আসামিদের আটকের পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

বাহিরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রোওশান আরা বেগম বলেন, "ঘটনা শুনে আমি খুবই মর্মাহত। স্বামী-স্ত্রী হোটেল থেকে ফেরার পথে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।"

ইএইচ