সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলায় দুইযুগ পূর্বে স্থাপিত চামরদানী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে দরজায় ঝুলছে তালা। যার দরুন ঐ ইউনিয়নের চল্লিশটি গ্রামের ত্রিশ হাজার মানুষ স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
চামরদানী ইউনিয়ন বাসীর চিকিৎসা সেবার সুবিধার্থে তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হেকিম তালুকদার কতৃক ভূমিদানের মাধ্যমে ২২/৬/১৯৯১সালে চামরদানী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি দু'তলা ভবনে শুভ উদ্বোধন করেন তৎকালীন ধর্মপাশা উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল তালুকদার।
চামরদানী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে একজন চিকিৎসক নিয়োজিত ছিল সর্বদাই। এখানে এলাকাবাসী চিকিৎসা সেবা নিতেনও নিয়মিত। আজো মানুষের মুখেমুখে এর সুনাম ভেসে বেড়ায়। তবে এখন আর তেমটা দেখা যায় না। প্রায় একযুগের বেশী সময় ধরে উক্ত প্রতিষ্ঠানটিতে ঝুলানো তালা। এলাকাবাসী আর চিকিৎসা সেবা পান না।
তাই উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের কাছে চামরদানী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি দ্রুত চালুকরণের জোরদাবী জানিয়েছেন দৌলতপু গ্রামের অরবিন্দু,তপু ও রনজন তালুকদার সহ অসংখ্য স্থানীয় জনমানুষেরা।
এনিয়ে বর্তমানে জনমনে রয়েছে একাধিক প্রশ্ন, চিকিৎসকেই বা কোথায়?কেনইবা তালা বদ্ধ? সরকারি প্রতিষ্ঠান যখন ঔষধেই বা কোথায় যায়?
এসকল বিষয়াদি তুলে ধরে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রিফাত তারেক সিদ্দিকী'দৈনিক আমার সংবাদ কে বলেন, ধর্মপাশার অধীনে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলোতে জনবলের প্রয়োজন ২০জন এর মধ্যে আছে মাত্র একজন।চামরদানীর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটির সবগুলো পদেই শূন্য তাই এমনটা।আমি একধিকবার শূন্যপদে জনবলের চাহিদা দিয়েছি।আশা করি বড় পরিসরে জনবল নিয়োগ দিলে এসকল সমস্যার সমাধান হবে।
জেএইচআর