সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে বালিয়াকান্দিতে মানববন্ধন

কাজী আনোয়ারুল ইসলাম টুটুল, রাজবাড়ী প্রকাশিত: আগস্ট ১০, ২০২৫, ০৩:২০ পিএম
সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে বালিয়াকান্দিতে মানববন্ধন

গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে হত্যা ও সারাদেশে সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার দুপুরে বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদ সড়কে উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের আয়োজনে এ মানববন্ধন হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মো. জাকির হোসেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- রাজবাড়ী জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ পেশাদার সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, বালিয়াকান্দি উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি সনজিৎ কুমার দাস, বালিয়াকান্দি প্রেসক্লাবের সভাপতি আতিয়ার রহমান, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সোহেল মিয়া, বাংলাদেশ প্রতিদিন ও ডিবিসি নিউজের রাজবাড়ী প্রতিনিধি দেবাশীষ বিশ্বাস, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রফিকুজ্জামান লিটন, উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল খান, দৈনিক আমার দেশ প্রতিনিধি পারভেজ মিয়া, দৈনিক জনবানীর প্রতিনিধি জয়নাল আবেদীন, তালাশ বিডির প্রতিনিধি মো. জাকির হোসেন, দৈনিক পাঞ্জেরীর খোন্দকার আহাদুল ইসলাম ও সমির কান্তি বিশ্বাস প্রমুখ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপজেলা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সাংবাদিক গোলাম মোর্তবা রিজু। এসময় ইত্তেফাকের প্রতিনিধি তনু শিকদার সবুজ, সাংবাদিক খোন্দকার আহাদুল ইসলাম, দৈনিক ঘোষণার প্রতিনিধি মিজানুর রহমান, দৈনিক সমাচারের প্রতিনিধি আজাদ তালুকদার, আরিফ হোসেন, দৈনিক যুগান্তরের প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ সমাচারের প্রতিনিধি ওয়াজেদ আলী, দেশ রূপান্তরের প্রতিনিধি মেহেদী হাসান মাসুদ, সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা, জাহিদুর রহিম, আমিরুল ইসলাম, ইমদাদুল হক রানা, নবচেতনার প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম মিলন, মেহেদী হাসান রাজু, আজকের পত্রিকার প্রতিনিধি অনিক সিকদারসহ উপজেলায় কর্মরত সব সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন, সারাদেশে একের পর এক সাংবাদিক হত্যা, নির্যাতন, মিথ্যা মামলা ও হামলার ঘটনা ঘটছে। অপরাধীদের বিচার না হওয়ায় এই ধারা অব্যাহত রয়েছে। তারা দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার ও দুই মাসের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করার দাবি জানান। অন্যথায় সারাদেশে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেন।

তারা আরও বলেন, ইতিপূর্বে সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার দেশবাসী দেখেনি। কয়েকদিন আগে প্রকাশ্যে গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিনকে হত্যা করা হয়েছে, যা সংবাদকর্মীদের মধ্যে গভীর আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, কিন্তু বারবার এ ধরনের ঘটনা সেই দায়িত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। সাংবাদিকরা রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে কাজ করেন—তাদের ওপর হামলা মানে সত্যকে দমন করা এবং স্বৈরাচারী মনোভাব প্রতিষ্ঠা করা। এই হামলার বিচার না হলে সমাজে নৈরাজ্য বৃদ্ধি পাবে বলে বক্তারা সতর্ক করেন।

ইএইচ