বিপদসীমার উপরে দুধকুমার নদীর পানি, প্লাবিত নিম্নাঞ্চল

ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২৫, ০২:৩৩ পিএম
বিপদসীমার উপরে দুধকুমার নদীর পানি, প্লাবিত নিম্নাঞ্চল

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে গত কয়েক দিনের অব্যাহত বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে উপজেলার সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। 

দুধকুমার নদীর পানি বিপদসীমার ৬ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

কুড়িগ্রাম পাউবো জানায়, বুধবার সকাল ৯টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দুধকুমার নদীর পানি পাটেশ্বরী সেতু পয়েন্টে ৫৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।

এদিকে, অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে চরাঞ্চলের আবাদি জমিসহ দ্বীপচরগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। খাল, বিল, নালা, ডোবা ও পুকুর টইটুম্বুর হয়ে গেছে। পানিতে তলিয়ে গেছে কৃষকের সদ্য লাগানো রোপা আমন ধান এবং বিভিন্ন মৌসুমী সবজি ক্ষেত।

উপজেলার সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে সদর ইউনিয়নের নলেয়া, চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের ইসলামপুর, পাইকেরছড়া ইউনিয়নের পাইকেরছড়া ও পাইকডাঙ্গা, আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের চর ও বীর ধাউরারকুঠি, তিলাই ইউনিয়নের দক্ষিণ তিলাই এবং শিলখুড়ি ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

সোনাহাট ইউনিয়নের সেতু পাড়ের বাসিন্দা রুবেল হোসেন ও জহর আলী জানান, অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে দুধকুমার নদীর পানি বাড়ির চারপাশে প্রবাহিত হয়েছে। এতে নদী পাড়ের মানুষরা বন্যার আতঙ্কে পড়েছেন।

তিলাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান জানান, নদী ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে দক্ষিণ তিলাইয়ের খোঁচাবাড়ি এলাকায় গুচ্ছ গ্রাম ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে।

চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মানিক উদ্দিন বলেন, ইসলামপুর গ্রামসহ ইউনিয়নের কিছু নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপ জন মিত্র জানান, জরুরি ভিত্তিতে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির মিটিং ডাকা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে। কিছু শুকনো খাবার মজুদ আছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে এবং নদী ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ইএইচ