রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে বিএনপি নেতা পিতা-পুত্রের নেতৃত্বে হামলায় ইতালী প্রবাসী মো. মাসুম শেখ (৪৫) মারাত্মক আহত হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছে। মাসুম বালিয়াকান্দি হাসপাতাল এলাকার সামাদ শেখের ছেলে।
রাজবাড়ী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ইতালী প্রবাসী মাসুম শেখ বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই বালিয়াকান্দিতে বড় হয়েছি। জীবিকার তাগিদে ২০০৭ সালে ইতালিতে যাই। আমার স্ত্রী বালিয়াকান্দি কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে চাকুরিকালীন বালিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার মশিউল আজম চুন্নুর ছেলে ছাত্রদল নেতা খোন্দকার শফিউল আজম শিবলু তাকে উত্ত্যক্ত করতো।
এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়ের হয়। পরে আমার স্ত্রী বালিয়াকান্দি থেকে বদলি হয়ে ফরিদপুরে চলে যায়। মামলাটি প্রত্যাহার করে। আমার কিছু বিভিন্ন সময় টাকা দাবি করে। বিষয়টি নিয়ে থানায় জিডিও করা হয়।
তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে ইতালী থেকে দেশে আসি। শুক্রবার বালিয়াকান্দিতে জুম্মার নামাজ পড়ে পিতার কবর জিয়ারত করে ফেরার পথে চুন্নু, তার ছেলে শিবলু সহ লোকজন নিয়ে আমার কাছে এসে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করে। আমি দিতে অস্বীকার করায় আমার উপর এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। থানা পুলিশ আমাকে তাদের হাত থেকে উদ্ধার করে। আমি থানায় মামলা দিতে চাইলেও মামলা গ্রহণ করেনি।
পরে সন্ধ্যায় থানা পুলিশ রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। এ বিষয়ে আমি আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। তাদের চাহিদা পূরণ না করায় আমি সহ আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
তবে এ বিষয়ে বালিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার মশিউল আজম চুন্নুর ছেলে ছাত্রদল নেতা খোন্দকার শফিউল আজম শিবলুর মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
বালিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জামাল উদ্দিন বলেন, একটি ফোন পেয়ে দ্রুত ইতালী প্রবাসীকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। তিনি কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেএইচআর