মাগুরায় ডিলারের নামে সার চুরির অভিযোগ

মাগুরা (মিরাজ আহমেদ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২৫, ১০:১৮ পিএম
মাগুরায় ডিলারের নামে সার চুরির অভিযোগ

মাগুরায় সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ডিলারের নামে সার উত্তোলন দেখিয়ে খোলা বাজারে অবৈধভাবে বিক্রির ঘটনায় সরাসরি দুর্নীতি, চোরাচালান ও আইনভঙ্গের প্রমাণ মিলেছে। 

বৃহস্পতিবার সকালে মাগুরা সদর উপজেলার বিএডিসি সার গোডাউন থেকে প্রায় ৪০ বস্তা সার পাচারের সময় স্থানীয় বাসিন্দা ও সাংবাদিকদের হাতে হাতেনাতে ধরা পড়ে।

গোডাউনের উপসহকারী পরিচালক এসএম মাহবুবুর রহমান দাবি করেছেন, সারগুলো ডিলারের কাছ থেকে ক্রয়কৃত, কিন্তু তিনি কোনো ক্যাশ মেমো, বিল-ভাউচার বা ডিলারের প্রত্যয়নপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন।

ডিলার আকবর আলী বলেন, “পাঁচ বছরের স্টক ও চলতি বছরের বরাদ্দের হিসাব দুদক দিয়ে অডিট করানো হলে আসল চোরদের মুখোশ উন্মোচিত হবে।”

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. তাজুল ইসলাম জানান, সার চুরি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। সরকারি ডিলারের নাম ব্যবহার করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও অবৈধ বিক্রি ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। অপরাধ প্রমাণিত হলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা গোবিন্দ কুমার জোয়ার্দার জানান, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে মাগুরা জেলায় মোট ৬৩,৩৮২ টন সার বরাদ্দ রয়েছে, যার মধ্যে ইউরিয়া ৩২,৩৪৫, টিএসপি ৭,৮৮৪, ডিএপি ১৪,৮৯২ ও এমওপি ৮,২৬৯ টন। সরকারি ডিলাররা নির্ধারিত দামের চেয়ে সর্বোচ্চ ২ টাকা বেশি বিক্রি করতে পারেন, কিন্তু বাস্তবে তার চেয়ে অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মাগুরা বিএডিসির তিনটি গোডাউনে মোট ১০,৬৫০ টন সার মজুদ ছিল। জেলার মোট ডিলারের সংখ্যা ২১০টি, এর মধ্যে মাগুরায় ১১৪টি এবং ঝিনাইদহে ৯৬টি।

সাহিদ আলী নামের এক কৃষক অভিযোগ করেছেন, “ন্যায্যমূল্যের সার না পেয়ে খোলা বাজারে বেশি দামে সার কিনতে বাধ্য হচ্ছি। এতে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে এবং কৃষকদের ক্ষতি হচ্ছে।”

ইএইচ