পূবাইল থানা প্রাঙ্গণে হাঁটু পানি: সাধারণ মানুষ ও পুলিশ সদস্যদের চরম দুর্ভোগ

পূবাইল (গাজীপুর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২৫, ০৪:৪২ পিএম
পূবাইল থানা প্রাঙ্গণে হাঁটু পানি: সাধারণ মানুষ ও পুলিশ সদস্যদের চরম দুর্ভোগ

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পূবাইল থানার প্রাঙ্গণে হাঁটু পানি জমে থাকায় সাধারণ মানুষ ও পুলিশ সদস্যরা চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাতের কারণে থানার আঙিনা পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে সেবাপ্রার্থীদের থানায় প্রবেশ ও সেবা গ্রহণের সময় নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। পাশাপাশি, পুলিশ সদস্যদের দৈনন্দিন কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে।

রোববার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, থানার ভেতরের সড়ক ও প্রাঙ্গণ হাঁটু পানি তলিয়ে আছে। 

অভিযোগ জানাতে আসা নারী-পুরুষরা কাদা-মাটির পানিতে হাঁটতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেকে জুতা হাতে নিয়ে হাঁটছেন, আবার কেউ কেউ ভেজা কাপড়েই থানায় প্রবেশ করছেন। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরাও একই সমস্যার সম্মুখীন। ডিউটি পরিবর্তন বা বিভিন্ন কক্ষে যাতায়াতের সময় তাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, পূবাইল থানায় দীর্ঘদিন ধরে পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থা নেই। বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতেও থানার আঙিনায় পানি জমে যায়। একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠানে এমন পরিস্থিতি অগ্রহণযোগ্য। থানায় সেবা নিতে এসে আমাদের পানি মাড়িয়ে যেতে হচ্ছে, যা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।”

পূবাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ আমিরুল ইসলাম বলেন, “পাশের মহাসড়কে আগে একটি কালভার্ট ছিল। ঢাকা সিটি বাইপাস সড়ক নির্মাণের সময় এটি বন্ধ হয়ে যায়। তখন থেকেই এই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। আমরা কোনোমতে থানায় প্রবেশ করতে পারি, তবে আশপাশের বাড়িঘরে পানি উঠে গেছে। সিটি করপোরেশন যদি ড্রেনেজ ব্যবস্থা বা কালভার্ট নির্মাণ করে, তাহলে এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।”

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক কর্মকর্তা রুবাইয়া ইয়াসমিন বলেন, “আমি বিষয়টি আগে জানতাম না। তবে এখন অবগত হওয়ায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

পূবাইলের বাসিন্দা ও সেবাপ্রার্থীরা দ্রুত পানি নিষ্কাশনের স্থায়ী সমাধানের দাবি জানিয়েছেন। তারা বলছেন, একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠানে এমন পরিস্থিতি কাম্য নয়। স্থানীয় একজন ব্যবসায়ী বলেন, “থানায় আসতে গিয়ে পানিতে ভিজে যেতে হচ্ছে। এটি শুধু আমাদের জন্য নয়, পুলিশ সদস্যদের জন্যও কষ্টকর। সিটি করপোরেশন দ্রুত ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা উচিত।”

স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে থানার সেবার মান ও পুলিশের কার্যক্রম আরও ব্যাহত হবে।

ইএইচ