ফেনীতে কলেজছাত্রী অপহরণ মামলায় ৩ আসামির ১৪ বছর করে কারাদণ্ড

ফেনী প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২৫, ০৬:১৬ পিএম
ফেনীতে কলেজছাত্রী অপহরণ মামলায় ৩ আসামির ১৪ বছর করে কারাদণ্ড

ফেনীতে দীর্ঘ ১৩ বছর পর এক কলেজছাত্রী অপহরণ মামলার রায় ঘোষণা করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এএনএম মোর্শেদ খাঁন। 

সোমবার দুপুরে রায় ঘোষণা করা হয়।

রায়ে তিন আসামিকে ১৪ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। মামলার অপর এক আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় চার আসামিই পলাতক ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— ফেনী সদর উপজেলার উত্তর শিবপুর পন্ডিত বাড়ির মো. সেলিম জাহাঙ্গীরের ছেলে তৈয়ব উল্লাহ, ফেনী পৌরসভার উত্তর চাড়িপুর সামছুল হক মৌলভী বাড়ির আবদুল হক মোয়াজ্জিনের ছেলে শহিদুল ইসলাম বাপ্পী, আবদুল হাইয়ের ছেলে আবদুর রহিম সজিব।

রাষ্ট্রপক্ষের মামলা পরিচালনা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট সাহাব উদ্দিন আহাম্মদ।

তিনি জানান, ২০১২ সালের ২৭ জুন ফেনী মডেল থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়। মামলার ১১ জন সাক্ষীর মধ্যে আটজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত রায় দেয়। দণ্ডপ্রাপ্তরা জামিনে থাকাকালীন পলাতক থাকায় তাদের গ্রেপ্তারের পরই সাজা কার্যকর হবে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ফেনী কম্পিউটার ইনস্টিটিউটের এক ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে উত্যক্ত করছিলেন তৈয়ব উল্লাহ। ২০১২ সালের ২৬ জুন সকালে ইনস্টিটিউটে যাওয়ার পথে তৈয়ব উল্লাহ ও আরও কয়েকজন মিলে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক অপহরণ করে ঢাকায় নিয়ে যায়। ছাত্রীর চিৎকার শুনে টহল পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে এবং তৈয়ব উল্লাহকে আটক করে। অন্য আসামিরা পালিয়ে যায়।

পরদিন, ২৭ জুন ছাত্রীর বাবা জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আবদুস সালামের অনুসন্ধানে চারজনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়।

পরে ২০১২ সালের ২২ অক্টোবর তৈয়ব উল্লাহ, সবুজ, শহিদুল ইসলাম বাপ্পী ও আবদুর রহিম সজিবকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।

২০১৬ সালের ১৭ জুন আদালত চার্জ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করে। মামলায় তৎকালীন ফেনী মডেল থানার ওসি মো. মাইনুল আবছার, তদন্তকারী কর্মকর্তা আবদুস সালামসহ আটজন সাক্ষী দেন।

দীর্ঘ ১৩ বছর পর এই রায়ের মধ্য দিয়ে মামলাটি নিষ্পত্তি হয়েছে।

ইএইচ