ক্যাশ ডলারের বিপরীতে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের পরামর্শ

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২২, ০৬:১২ পিএম
ক্যাশ ডলারের বিপরীতে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের পরামর্শ

দেশে চলমান ডলার সংকটে বিদেশ ভ্রমণ ও শিক্ষা-চিকিৎসাসহ জরুরী প্রয়োজন মেটাতে নগদ ডলারের পরিবর্তে ক্রেডিট কার্ড তথা ইলেক্ট্রনিক ডলার ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘দেশে ডলার আসার তুলনায় বিদেশে যাচ্ছে বেশি। চিকিৎসা, শিক্ষা বা ভ্রমণ থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই  ডলারের আউটফ্লোটা বেড়ে গেছে। 

নানা সীমাবদ্ধতার কারণে সে পরিমাণ ডলার দেশে আসছে না। একারণেই সংকট দেখা দিয়েছে এবং খোলা বাজারে ডলারের মূল্য হু হু করে বাড়ছে। তাই ক্যাশ ডলার বহনে আমরা নিরুৎসাহিত করছি।’ 

তিনি বলেন, ‘সবাইকে বলব-আগে যেমন পুরো ১২ হাজার ডলার ক্যাশ নিয়ে যেতেন, এখন ২ হাজার ক্যাশ নিয়ে বাকিটা কার্ডে নিন।’ দেশের সংকটে সবাইকে দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়ে মুখপাত্র বলেন, বাজারে ডলার সংকট ও রিজার্ভ কমার অন্যতম কারণ হলো আমদানি বৃদ্ধি। 

আমদানির তুলনায় রপ্তানি অনেক কম। তাই আমদানি রপ্তানির মধ্যে শুন্যস্থান পূরণ করতে হলে রপ্তানি বৃদ্ধির বিকল্প নেই। বাজার স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত রিজার্ভ থেকে ডলার সরবরাহ করে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এটা অব্যাহত থাকবে। তবে রেমিট্যান্স বৃদ্ধির দিকেও নজর দিতে হবে।

অন্যদিকে ডলার সংকটের পিছনে কারসাজির চক্রের হাত রয়েছে। তাই খোলা বাজার ও এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোতে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 

গত সোমবার কারসাজিতে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় দেশি-বিদেশি ৬টি ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধানকে অপসারণ করতে নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকগুলো হলো-বেসরকারি খাতের ব্র্যাক ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক ও সাউথইস্ট ব্যাংক এবং বিদেশি খাতের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক।

এখন পর্যন্ত কারসাজির অপরাধে পাঁচ মানি চেঞ্জারের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। পাশাপাশি ৪২টিকে শোকজ করা হয়েছে। এছাড়া লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করায় ৯টি প্রতিষ্ঠান শাটডাউন করে দেয়া হয়েছে। বাকীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলা হয়েছে।

 

আমারসংবাদ/টিএইচ