অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাল্টা শুল্ক কমানো সংক্রান্ত আলোচনায় বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন নিজের যোগ্যতা ও দক্ষতা প্রমাণ করেছেন।
শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, “দেশের অভ্যন্তরীণ পণ্যমূল্যের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সফল শুল্ক আলোচনায় তিনি (বাণিজ্য উপদেষ্টা) নিজের সক্ষমতা দেখিয়েছেন, সমালোচকদের হতাশ করে।”
উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বের ৫৭টি দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক (Reciprocal Tariff) আরোপ করেন। বাংলাদেশের পণ্যের ওপর তখন শুল্ক নির্ধারিত হয় ৩৭ শতাংশ, যা পরে তিন মাসের জন্য স্থগিত রাখা হয়। এরপর ৮ জুলাই ট্রাম্প একটি চিঠিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, ১ আগস্ট থেকে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক কার্যকর হবে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির (USTR) সঙ্গে চূড়ান্ত আলোচনায় নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। আলোচনার ফল হিসেবে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশে নামিয়ে আনার ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে আরও কয়েক ডজন দেশের ওপরও সংশোধিত শুল্ক আরোপ করা হয়।
শুল্ক হার কমানোর পর ফেসবুকে একাধিক পোস্টে বাণিজ্য উপদেষ্টার প্রশংসা করেন বিদ্যুৎ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। দ্বিতীয় একটি পোস্টে তিনি লেখেন:
“আমি প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে সম্ভাব্য বাণিজ্য উপদেষ্টা হিসেবে শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে সাক্ষাতের দায়িত্ব পাই। তখন তিনি ভোলায় একটি ব্যবসায়িক সফরে ছিলেন। পরবর্তীতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে আমার অফিসে আমরা দেখা করি।
আমাদের পূর্বপরিচয় না থাকলেও প্রায় এক ঘণ্টা খোলামেলা আলোচনা হয়। অফিস থেকে দেওয়া নাশতা তিনি বিনয়ের সঙ্গে গ্রহণ করেননি। তবে তাঁর মধ্যে সবচেয়ে যা আমাকে মুগ্ধ করেছে তা হলো—তাঁর গভীর দেশপ্রেম, যুক্তিহীন কিছু মেনে না নেওয়ার মনোভাব এবং তথ্যকে দ্রুত ও সুসংগঠিতভাবে বিশ্লেষণ করার অসাধারণ ক্ষমতা।
আমি আমার এই অনুভূতি প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছিলাম। পরবর্তীতে আল্লাহর রহমতে দেশ ও জাতির স্বার্থে প্রধান উপদেষ্টা তাঁকেই দায়িত্ব দেন, আর তিনি তা গ্রহণ করেন।”
শেষে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান প্রার্থনা করে লেখেন, “আল্লাহ তাঁকে (শেখ বশিরউদ্দীন) হায়াতে তাইয়্যেবা দান করুন, যাতে তিনি সরকারে কিংবা বেসরকারি খাতে দেশকে আরও দীর্ঘদিন সেবা দিতে পারেন।”
ইএইচ