বিএফআইইউ’র তালিকায় ২৮ মানিচেঞ্জার, ব্যাংক হিসাব তলব

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক প্রকাশিত: আগস্ট ২৩, ২০২২, ০৮:৪৫ পিএম
বিএফআইইউ’র তালিকায় ২৮ মানিচেঞ্জার, ব্যাংক হিসাব তলব

অর্থ পাচারে জড়িত সন্দেহে ২৮টি মানিচেঞ্জারের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। মঙ্গলবারের মধ্যে এসব প্রতিষ্ঠানকে ব্যাংক হিসাব জমা দিতে হবে। বিএফআইইউ সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

তালিকায় রয়েছে- নিবেদিতা মানি এক্সচেঞ্জ, সিটি মনিটারি এক্সচেঞ্জ, বকাউল মানি এক্সচেঞ্জ, মনডিয়াল মানি এক্সচেঞ্জ, নাবিলস মানি চেঞ্জার, হিমালয় ডলার মানি চেঞ্জার, ক্যাপিটাল মানি চেঞ্জার, মেট্রো মানি এক্সচেঞ্জ, ডিপেনডেন্ট মানি চেঞ্জার, ঢাকা মানি চেঞ্জার, লর্ডস মানি চেঞ্জার, গ্লোরি মানি এক্সচেঞ্জ, ডিএন মানি চেঞ্জার, অংকন মানি এক্সচেঞ্জ, বিজয় মানি এক্সচেঞ্জ, বিনিময় মানি এক্সচেঞ্জ, বুড়িগঙ্গা মানি এক্সচেঞ্জ, ফয়েজ মানি এক্সচেঞ্জ, কুমিল্লা মানি এক্সচেঞ্জ, এএসএন মানিচেঞ্জার, বিকেবি মানি এক্সচেঞ্জ, কেয়া মানি চেঞ্জার, আলফা মানি এক্সচেঞ্জ, ক্রিস্টাল মানি এক্সচেঞ্জ, দি লিয়াজোঁ মানি এক্সচেঞ্জ, উত্তরা মানি চেঞ্জার, বিজয় মানি এক্সচেঞ্জ ও বিজয় ইন্টারচেঞ্জ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। কারো বিরুদ্ধে কারসাজির প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এখন পর্যন্ত ১০০-এর বেশি মানি চেঞ্জার পরিদর্শন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মধ্যে ৪২টি প্রতিষ্ঠানকে ডলার কেনাবেচায় বিভিন্ন অনিয়মের কারণে শোকজ করা হয়। আর ৫টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে।

তথ্যমতে, দেশে অনুমোদনপ্রাপ্ত মানিচেঞ্জার আছে ২৩৫টি। তবে সহস্রাধীক মানিচেঞ্জার লাইসেন্স ছাড়াই ব্যবসা করছে। লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করায় ৯টি প্রতিষ্ঠান শাটডাউন করা হয়েছে। বাকীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে বলা হয়েছে।

নিয়ম অনুযায়ী মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানে দিনশেষে ২৫ হাজার ডলারের বেশি থাকলে তা ব্যাংক হিসাবে জমা দিতে হয়। নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে কত ডলার বেচাকেনা হয়েছে তার তথ্য নিয়মিতভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে দিতে হয়। তবে জোর তদারকি না থাকায় অনেক মানিচেঞ্জার নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছে।

এবি