ডিসিসিআই’র সাথে বৈঠক

ঔষধ এবং চামড়াখাতে বিনিয়োগে আগ্রহী ইরাক

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২২, ০৫:৪৯ পিএম
ঔষধ এবং চামড়াখাতে বিনিয়োগে আগ্রহী ইরাক

বাংলাদেশের ঔষধ ও চামড়াখাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইরাক। বাংলাদেশ সফররত ইরাকের সুলাইমানি চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদলের সাথে বুধবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র (ডিসিসিআই) দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনায় এ আগ্রহ প্রকাশ করে দেশটি।

ডিসিসিআই মিলনায়তনে আয়োজিত এই বৈঠকে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরে দুদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৫.৭২ কোটি মার্কিন ডলার, যেখানে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ প্রায় ৪.৯৬ কোটি মার্কিন ডলার। এই সময়ে বাংলাদশের আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৫.৩৪ কোটি এবং ৩৮ লাখ মার্কিন ডলার।

বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে আরো বেশি পরিমানে শাক-সবজি, আলু, আমসহ কৃষিজাত পণ্য ও তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক সেবা আমদানির আহ্বান জানান রিজওয়ান রাহমান। এছাড়া উৎপাদন ও সেবা খাতে দুদেশের বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বাণিজ্য আরো সম্প্রসারণে ডিসিসিআই সভাপতি দ্বৈতকর পরিহারের উপর জোরারোপ করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগের পাশাপাশি এদেশে হতে আরো বেশি হারে দক্ষ মানব সম্পদ নেওয়াও প্রস্তাব করেন তিনি।    

বৈঠককালে সুলাইমানি চেম্বারের চেয়ারম্যান সিরওয়ান মোহাম্মদ মাহমুদ জানান, ইরাকের বাজার বাংলাদেশের উৎপাদিত তৈরি পোষাক খাতের পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে এবং তাঁর দেশের বাজার বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময় ও লাভজনক। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের অধিকতর উন্নয়নে দুদেশের মধ্যকার সরাসরি বিমান যোগাযোগ চালুকরণের পাশাপাশি ডিসিসিআই ও সোলাইমানি চেম্বারের মধ্যকার সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের উপর তিনি জোরারোপ করেন।

সুলাইমানি চেম্বারের চেয়ারম্যান বলেন, বিশেষকরে বাংলাদেশের ঔষধ ও চমড়াখাতে একক কিংবা যৌথ বিনিয়োগে ইরাকের উদ্যোক্তারা খুবই আগ্রহী। সেই সাথে ইরাকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের সোলাইমানি চেম্বারের পক্ষ হতে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন ।          

বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদের মধ্যে ডিসিসিআই সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন সহ পরিচালনা পর্ষদের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এবি