জনতা ব্যাংকের এমডি হচ্ছেন আব্দুল জব্বার

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক প্রকাশিত: এপ্রিল ১৩, ২০২৩, ০৯:০৫ পিএম
জনতা ব্যাংকের এমডি হচ্ছেন আব্দুল জব্বার

রাষ্ট্রায়ত্ব জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন আব্দুল জব্বার। ইতোপূর্বে তিনি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এর ফলে ব্যাংকটিতে পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে এমডি পদে দায়িত্ব পালন করে আসা আব্দুছ ছালাম আজাদ এর পর্ব শেষ হলো। 

বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে চিঠি দেয়া হয় জনতা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানকে। বিষয়টি নিশ্চিত করে জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম মাহফুজুর রহমান জানান, ‘বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল জব্বারকে জনতা ব্যাংকের এমডি হিসেবে নিয়োগ দেয়ার চিঠি আজ পেয়েছি ।’

আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উপ-সচিব মীনাক্ষী বর্মণ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, ‘‘জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী পদে মো. আব্দুল জব্বারকে ৩ বছরের জন্য চুক্তিতে নিয়োগে সরকারের সম্মতি জ্ঞাপন করা হলো।’’ ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী তার নিয়োগের বিষয়ে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের অনুরোধ করা হয় পরিচালক পর্ষদের চেয়ারম্যানের প্রতি।

ব্যাংক কোম্পানী আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ দিয়ে থাকে সংশ্লিষ্ঠ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। তার পূর্বে ওই ব্যাবস্থাপনা পরিচালককে নিয়োগ দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনপাত্তি পত্র নিতে হয়। নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংকের পর্ষদে তা অনুমোদন করে প্রস্তাব আকারে কেন্ত্রীয় ব্যাংকের কাছে পাঠবে জনতা ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনাপত্তি পেলে তার নিয়োগ চূড়ান্ত করতে পারবে ব্যাংক। রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংক হিসেবে জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনোনয়ন দিয়ে থাকে সরকার।

এ নিয়োগের মাধ্যমে জনতা ব্যাংকে আব্দুছ ছালাম আজাদ এর পর্ব শেষ হচ্ছে। ২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর তাকে ব্যাংকটিতে এমডি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল সরকার। ২০২০ সালের ৩ ডিসেম্বর তার প্রথম মেয়াদকাল শেষ হলে পুনরায় নিয়োগ দেয়া হয় সুযোগ-সুবিধা কমিয়ে দিয়ে। আগমী ২৯ এপ্রিল তার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। জনতা ব্যাংকেই কর্মজীবন শুরু হয় আব্দুছ ছালামের। মহাব্যবস্থাপক পদ থেকে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পেলে তাকে বদলি করা হয় কৃষি ব্যাংকে। এরপর উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পদেই তিনি ফিরে আসেন জনতা ব্যাংকে। সেখান থেকেই ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হন। 

জানা গেছে ব্যাংকটিতে বড় দুটি ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেছে তিনি এমডি থাকা অবস্থাতেই। এর একটি হচ্ছে এনন টেক্স গ্রুপের পাঁচ হাজার ৭৬৮ কোটি টাকার ঋণ অনিয়ম। অন্যটি হচ্ছে ক্রিসেন্ট গ্রুপকে সীমার বাইরে ঋণ দেওয়া। এই দুটি ঋণের অর্থ বিদেশে পাচার হয়ে গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এনন টেক্স গ্রুপকে দেওয়া ঋণের অনিয়মের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বিশেষ পরিদর্শন চালায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই পরিদর্শনে ঋণ বিতরণে অনিয়মের বিষয়টি উঠে আসে। এনন টেক্স ও ক্রিসেন্ট গ্রুপের ঋণ কেলেঙ্কারীর ঘটনায় মামলা চলমান রয়েছে।

এমএইচআর