এফবিসিসিআই নির্বাচন: ৪৬ পদে বৈধ প্রার্থী ১০২ জন

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০২৩, ১০:০০ পিএম
এফবিসিসিআই নির্বাচন: ৪৬ পদে বৈধ প্রার্থী ১০২ জন

 ৫ জনের প্রার্থীতা বাতিল

ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচনের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচনী বোর্ড। যাচাই বাছাই শেষে গত শনিবার (১৫ জুলাই) বৈধ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। প্রাথমিক যাচাইয়ে ৩২জন প্রার্থীকে তালিকা থেকে বাদ দেয়া হলেও নির্ধারিত সময়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেয়ায় খসড়া তালিকায় ২৭ জনের নাম সংযুক্ত করা হয়েছে। আর চুড়ান্তভাবে বাদ পড়েছেন ৫ জন প্রার্থী। ফলে এসোসিয়েশন গ্রুপে পরিচালকের ২৩টি পদে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ৭৩ জন। আর চেম্বার গ্রুপে ২৩ পদে বৈধ প্রার্থী ২৯ জন। আর মনোনীতি পদে ১৬ জন করে ৩২ জন আগামী বোর্ডে পরিচালক হিসেবে চূড়ান্ত হয়েছেন। 

আগামী ১৮ জুলাই প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। এই সময়ের মধ্যে কেউ প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করলে এবার তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোট হবে এফবিসিসিআইয়ে। তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩১ জুলাই সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভোটগ্রহণ চলবে। ভোট শেষে পরিচালক পদে নির্বাচিতদের নাম ঘোষণা করা হবে। এরপর নির্বাচিত পরিচালকদের ভোটে এফবিসিসিআই সভাপতি, সিনিয়র সহসভাপতি ও ছয়জন সহসভাপতি পদে নির্বাচন হবে আগামি ২ আগস্ট।

বিগত নির্বাচনগুলোতে একাধিক প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরিচালকরা নির্বাচিত হলেও এবার প্রতিটি পদেই একাধিক প্রার্থী আছেন। তাই ভোট আয়োজনের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচনী বোর্ড। জানা গেছে, অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপে সভাপতি প্রার্থী মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বে ৩৯ জন প্রার্থী আছেন। এর বিপরীতে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের একটি প্যানেল রয়েছে। এই প্যানেল থেকে আছেন ২৬ জন প্রার্থী। এই গ্রুপে স্বতন্ত্র প্রার্থী আছেন আরও ৮ জন। অর্থাৎ অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপে ২৩ পদের বিপরীতে প্রার্থী সংখ্যা ৭৩ জন। অন্যদিকে চেম্বার গ্রুপে কোন প্যানেল না থাকলেও ২৩ পদে প্রার্থী আছেন ২৯ জন। আগামী ১৮ জুলায়ের মধ্যে কেউ প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করলে দুই গ্রুপেই তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে। ওইদিন চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচনী বোর্ড।

অপরদিকে অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বার গ্রুপ থেকে ১৭ জন করে পরিচালক মনোনীত হওয়ার কথা থাকলেও খসড়া তালিকায় ১৬ জন করে ৩২ জনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। উভয় গ্রুপ থেকে একজন করে প্রার্থীর মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচনী বোর্ড। তারা হলেন বরিশাল চেম্বারের মনোনীত পরিচালক মো. নিজাম উদ্দিন ও বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের মনোনীত পরিচালক আবুল হোসেন। এ বিষয়ে নির্বাচনী বোর্ডের সেক্রেটারি মামুনুর রহমান বলেন, ‘প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ করতে না পারায় দুজন মনোনীত প্রার্থীকে খসড়া তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।’ জানা গেছে, বাদ পড়া প্রার্থীরা চাইলে আরবিট্রেশন ট্রাইব্যুনালে আপিল করতে পারবেন। সেখানেও তারা বাদ পড়লে নির্বাচিত বোর্ডের সিদ্ধান্তের আলোকে দু’জন কম পরিচালক নিয়েই বোর্ড গঠন করবে এফবিসিসিআই।

বর্তমানে ফেডারেশনের পর্ষদ ৮০ জনের। এসব পদ আবার দুইভাগে বিভক্ত। এক ভাগে জেলাভিত্তিক বাণিজ্য সংগঠন বা চেম্বার থেকে ৪০ জন পরিচালক হন। বাকি ৪০ পরিচালক হন পণ্যভিত্তিক ব্যবসায়ী  সংগঠনের (এসোসিয়েশন) মধ্য থেকে। তবে ৮০ জন পরিচালকের মধ্যে ৩৪ জন (১৭ জন পণ্যভিত্তিক ব্যবসায়ী সংগঠন ও ১৭ জন জেলাভিত্তিক বাণিজ্য সংগঠন) মনোনয়নের মাধ্যমে ভোটছাড়াই পদ পান। বাকি ৪৬ জনকে সরাসরি সদস্যদের ভোটে জিতে আসতে হয়।

সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ থেকে পরিচালকপদপ্রার্থী, এসএস রহমান গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. রকিবুল আলম (দিপু) জানান, দুটি প্যানেল থাকায় এবার ভোটাররা তাদের মতামত প্রকাশের সুযোগ পাবেন। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে পারবেন।

আরএস