অর্থমন্ত্রী

কোনো বাংলাদেশিকে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে রাখতে চায় না ইইউ

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৪, ০৮:৩৭ পিএম
কোনো বাংলাদেশিকে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে রাখতে চায় না ইইউ

ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলো কোনো বাংলাদেশিকে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে রাখতে চায় না। ইউরোপীয় ইউনিয়নে যারা যাবেন কিংবা বসবাস করতে চান, বৈধভাবে যদি সেখানে বসবাস করার সুযোগ থাকে, তাহলে ইউরোপ তাদের গ্রহণ করবে।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন, অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

এর আগে ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগে আগ্রহের কথা জানিয়েছেন হোয়াইটলি। তিনি সুনির্দিষ্ট করে কী বলেছেন? কোথায় কোথায় বিনিয়োগ করতে চান- জানতে চাইলে সাংবাদিকদের মন্ত্রী বলেন, ‘নাহ, সুনির্দিষ্ট করে বলেননি। তবে এটার একটা পিলার দিয়েছেন তিনি।

ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিবরণ দিতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘মঙ্গোলিয়ায় একটা কনফারেন্স হয়েছিল। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশে অনেক অবৈধ অভিবাসী আছেন, তাদের নিয়ে সেখানে আলোচনা হয়েছে। তাদের পররাষ্ট্রবিষয়ক কর্মকর্তাকে আমি বলেছিলাম যে, আমরা এটার সমাধান করতে চাই। আমরা চাই না- আমাদের কোনো লোক ইউরোপীয় ইউনিয়নে বেআইনিভাবে থাকুক।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নে যারা যাবেন, কিংবা বাস করতে চান, বৈধভাবে যদি সেখানে বাস করার সুযোগ থাকে- তাহলে ইউরোপ তাদের গ্রহণ করবে। আর না হলে আমরা এটা নিয়ে আলোচনা করব।’

তিনি বলেন, এতে (অবৈধভাবে থাকলে) তো কোনো মানসম্মান থাকবে না। অভিবাসীরা কাজও করতে পারবে না ঠিকমতো। কাজেই তাদের একটা কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশিরা ইউরোপে অবৈধভাবে বাস করুক সেটা আমরাও চাই না- তা তারা বুঝে গেছেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের জন্য কোনো সমস্যাই তৈরি করতে চাই না। তারা একটা কথা বলল যে- ইতালি থেকে বছরে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার এসেছে। এটা তাদের তথ্য। আমি তাতে খুশি হলাম। তারা বলেছেন, ইতালিতে বাংলাদেশিদের অনেক চাহিদা। বাংলাদেশিরা সেখানে খুব ভালোভাবে কাজ করে- এটা ইতালীয়রা দেখেছেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, ইতালি তো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইতালির মতো দেশে এখন বাংলাদেশিরা যে সুনাম অর্জন করেছে। এটা আমাদের কাজে লাগাতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সেজন্য আমাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহায়তা করার পরিকল্পনা করেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নে একটা বড় বাজার আছে। রপ্তানি বাজার, অভিবাসী পাঠানো ও সেখানে বাংলাদেশিদের কাজের সুনাম যেভাবে বেড়েছে। এসব আমাদের পক্ষে যাচ্ছে। কিভাবে এটাকে আরও উন্নত করা যায়, ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে কিভাবে সম্পর্ক আরও বাড়ানো যায়, সেটা দেখতে হবে।

আরএস