গণস্বাক্ষর কর্মসূচি: পদ বঞ্চিতদের জোরালো আন্দোলন

চবি প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২, ০৬:৪৮ পিএম
গণস্বাক্ষর কর্মসূচি: পদ বঞ্চিতদের জোরালো আন্দোলন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ছাত্রলীগ কমিটি থেকে বাদ পড়া কর্মীদের আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। এবার  আন্দোলনকে ঘিরে ঘোষিত কমিটিতে পদবঞ্চিতদের মূল্যায়ন ও কমিটি পুনঃমূল্যায়নের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছে তারা।

এতে অংশগ্রহণ করে চবি ছাত্রলীগের ৬ টি উপগ্রুপ এবং সবগুলো গ্রুপই সাবেক সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজম নাছির উদ্দীনের অনুসারী।

এর আগে গত মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) তারা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩ টায়  এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত  হয়। গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী গ্রুপগুলো হলো  ভিএক্স, বাংলার মুখ, রেড সিগনাল, কনকর্ড, এপিটাফ ও উল্কা।

মূলত তিনটি দাবিতে পদবঞ্চিতরা জোরালো  আন্দোলন করছে তা হলোঃ

১) পদবঞ্চিত ত্যাগী ও পরিশ্রমী কর্মীদের মূল্যায়ন করে কমিটিতে অর্ন্তভুক্তকরণ।
২) কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতাদের যোগ্যতা অনুসারে পদগুলোর পুনঃমূল্যায়ন।
৩) কমিটিতে পদপ্রাপ্ত বিবাহিত, চাকরিজীবী ও দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থাগ্রহণ।

দাবি মেনে নেওয়া না হলে পরবর্তীতে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেয় পদবঞ্চিত ছাত্রলীগ নেতাকর্মী।

গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে রেড সিগনাল গ্রুপের নেতা রাকিবুল হাসান দিনার বলেন, দীর্ঘ ৩ বছর পর গত ৩১ জুলাই রাতে চবি  ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। দীর্ঘদিন সময় নিয়ে ঘোষিত কমিটি ত্যাগী নেতাকর্মীদের মন জয় করতে পারেনি। উল্টো নিষ্ক্রিয় ও জামায়াত-বিএনপি পরিবারের ছেলেদের স্থান দিয়ে কমিটিকে করেছে প্রশ্নবিদ্ধ। এর প্রতিবাদে ৩ দফা দাবিতে আমরা নিয়মিত কর্মসূচি পালন করছি এবং সুশৃঙ্খল আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছি। তবে দাবি আদায় না হলে এর থেকে কঠোর কর্মসূচি দিতে আমরা বাধ্য হবো।

ভিএক্স গ্রুপের নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় বলেন, ঘোষণার পর থেকেই নতুন কমিটি ব্যাপক সমালোচিত। কমিটি সংশোধনের জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছি এবং এই আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

বিষয়টি নিয়ে চবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ কর্মী আছে কয়েক হাজার। যতোই চেষ্টা করি সবাইকে তো কমিটিতে নেওয়ার সুযোগ নেই। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি যোগ্যতার ভিত্তিতে কমিটি দিতে। তবে পদবঞ্চিরা সামনে হল ফ্যাকাল্টি কমিটিতে সুযোগ পাবে। আন্দোলনকারীদের বলেছি বিতর্কিত কেউ থাকলে প্রমাণ দিতে,আমরা ব্যবস্থা নিব। কিন্তু তারা সেটা না করে,শুধু শুধুই আন্দোলন করছে।

বলাবাহুল্য, গত ৩১ জুলাই প্রায় ৩ বছর পর চবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকেই ধারাবাহিক আন্দোলন করে আসছে পদবঞ্চিতরা।

এসএম