আতঙ্কে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীরা

বরিশাল ব্যুরো প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২৩, ০৭:১৯ পিএম
আতঙ্কে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীরা

হেলমেটধারীদের হামলায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শের-ই বাংলা আবাসিক হলের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগের একাংশের নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ সিফাত আহত হওয়ার ঘটনার পর এবার প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগ নেতাদের অনুসারীদের রুমে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসগুলোতে রাতের বেলা চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে শের-ই বাংলা আবাসিক হলের ৫০১০ নম্বর কক্ষের বাসিন্দা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্স শেষবর্ষের শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম তুহিন বলেন, সিফাতের ওপর হামলার ঘটনার পর মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আমার কক্ষে সিফাতের অনুসারীরা ভাংচুর চালায়।

এসময় তারা রুমে প্রবেশ করে কম্পিউটার, দৈনন্দিন ব্যবহারের ইলেকট্রিক পণ্য, লাগেজ ভাংচুর করে বইপত্র নিয়ে যায়। পরে বুধবার আমার কক্ষে তাদের অনুসারী দুইজন শিক্ষার্থীকে উঠিয়ে দেয়া হয়। বিষয়টি আমি হলের প্রভোষ্ট স্যারকে জানিয়েছি।

তুহিন আরো জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে আরও এক শিক্ষার্থীর কক্ষে হামলা চালানো হয়েছে। তবে সে ভয়ে কিছু বলতে চাচ্ছেন না। তুহিন বলেন, রিয়াজ উদ্দিন আমাদের বন্ধু হওয়ায় এ হামলা চালানো হয়েছে। আমরা এখন চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছি। তাই আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে শান্তি চাই।

আরেক ভূক্তভোগী শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম দিপ বলেন, আবাসিক হলের ৩০১২ নম্বর কক্ষে তিনি থাকেন। বুধবার দিবাগত রাতে ১০-১২ জন মিলে তার রুমে প্রবেশ করে জিনিসপত্র তছনছ করেছে।

অপরদিকে ভূক্তভোগীরা এসব ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় যাদের নাম বলেছেন তাদের নেতৃত দেওয়া তাহমিদ জামান নাভিদ ও শরিফুল ইসলাম নিলয় এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

আর শের-ই বাংলা আবাসিক হলের প্রভোস্ট আবু জাফর মিয়া বলেন, বিষয়টি ভূক্তভোগীরা আমাকে জানিয়েছেন। পুরো ঘটনার তদন্ত শেষে প্রশাসনের সাথে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, ক্যাম্পাসে একসময় ছাত্রলীগের পৃথক পাঁচটি গ্রæপ থাকলেও বর্তমানে তিনটি গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। গত ২৪ জানুয়ারি ভোরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ববি’র শের-ই বাংলা হলের ৪০১৮ নম্বর রুমে হেলমেট পরিহিত একদল যুবক প্রবেশ করে গণিত বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ সিফাতের ওপর হামলা করে। 

এ সময় জিএম ফাহাদ ও একে জিহাদ নামের আরো দুই শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন।

টিএইচ