শিক্ষার্থীদের রক্ত হাতে লাগা সেই শিপনকে অতিথি করলো ববি

ববি প্রতিনিধি প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩, ০৫:৫৭ পিএম
শিক্ষার্থীদের রক্ত হাতে লাগা সেই শিপনকে অতিথি করলো ববি

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক যুগপূর্তি ও নবীন বরণ অনুষ্ঠানে বরিশাল নগরীর রূপাতলী হাউজিং এলাকায় বিভিন্ন মেসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার নেতৃত্বে থাকা বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর আওয়ামী লীগের শ্রম সম্পাদক কাওছার হোসেন শিপন কে অতিথি করায় ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠানের প্রথম সারিতে কাওছার হোসেন শিপন এর বসে থাকা অবস্থায় একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের দানা বাঁধে।

এ নিয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রুপাতলি হাউজিং এলাকায় মধ্যরাতে ঘুমন্ত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় শিপন ওতোপ্রতভাবে জড়িত ছিলো৷ তিনি শিক্ষার্থীদের রক্ত জড়িয়েছে। তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন একটি অনুষ্ঠানে অতিথি করার বিষয়টি শিক্ষার্থীদের ক্ষুদ্ধ করে তুলেছে। অনেকেই বিকেলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বয়কটের ডাক দিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শামীম আহসান নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, কালো রাত্রির খল নায়ক কে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আমন্ত্রণ করায় উপাচার্যের কারণ দর্শানো উচিত। আমার প্রাণের বিশ্ববিদ্যালয় কে ভাবমূর্তি শূন্য করে তলানিতে নামিয়ে দিয়েছে এই অযোগ্য উপাচার্য।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমার ভাইদের রক্তের দাম কি এতোই সস্তা? যে ব্যক্তির নেতৃত্বে আমার ভাইদের উপর কাল রাত নেমে এসেছিল সে আজ আমাদের ক্যাম্পাসে অতিথি হয় কেমন করে? যে ব্যক্তির ইশারায় সেদিন বরিশাল অঞ্চলের র‌্যাব, পুলিশ ৪৫ মিনিট ধরে ফোন রিসিভ করে নি সে কেনই বা আজ আমাদের ক্যাম্পাসে? বিশ্ববিদ্যালয়  প্রশাসন পারবে এর সঠিক জবাব দিতে?

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ছাদেকুল আরেফিন বলেন, এ মুহূর্তে এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।

উল্লেখ্য, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) ২০২১ সালে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীদের ওপর  মধ্যরাতে তিন আওয়ামী লীগ নেতার নেতৃত্বে হামলা হয়েছে বলে দাবি করেছে শিক্ষার্থীরা। তাদের মতে, হামলায় নেতৃত্ব দেন বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর আওয়ামী লীগের শ্রম সম্পাদক কাওছার হোসেন শিপন, বরিশাল পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মানিক এবং তেল মামুন নামের একজনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও অর্ধশতাধিক ‘সন্ত্রাসী বাহিনী’।

ওই দিন রাতে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে বরিশাল নগরীর রূপাতলী হাউজিং এলাকায় বিভিন্ন মেসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়।

কেএস