জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনে যোগ দিতে অননুমোদিতভাবে যেসব শিক্ষক ক্লাসে অনুপস্থিত আছেন তাদের তালিকা চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষার ঢাকা অঞ্চলের উপপরিচালকের কার্যালয় থেকে সব জেলা শিক্ষা অফিসারকে রোববার এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এর আগে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে পরিচালককে এ বিষয়ে মওকুফ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
উপপরিচালক এএসএম আব্দুল খালেকের সই করা চিঠিতে বলা হয়, আপনার অধীন যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান শিক্ষক/সহকারী প্রধান শিক্ষক/সহকারী শিক্ষক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে ২৩ জুলাই অননুমোদিতভাবে অনুপস্থিত রয়েছে তাদের নামের তালিকা ২৪ জুলাই সকাল ১১টার মধ্যে পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।
এছাড়াও অননুমোদিতভাবে শিক্ষক অনুপস্থিত থাকলে তার তালিকা প্রতিদিন পাঠানোর জন্যও বলা হয়েছে।
জাতীয়করণের দাবিতে গত ১১ জুলাই থেকে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির ব্যানারে শিক্ষকরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে। লাগাতার অবস্থানের মধ্যে ১৯ জুলাই শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হয় বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের।
জাতীয়করণের ঘোষণার বদলে এ বিষয়ে দুই কমিটি করে দেওয়ার কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। ওই বৈঠকে ২০ জুলাই থেকে শুরু হওয়া গ্রীষ্মকালীন ছুটিও বাতিল করা হয়। এতে মর্মাহত হন শিক্ষকরা। তাই লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে তারা প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান করেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে নিজেদের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করা অন্যায়। সরকার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করছে। তাদের বিষয়ে দুটি কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। এরপরও এ আন্দোলন অযৌক্তিক।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনামান্য করে যারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে না গিয়ে আন্দোলনে অংশ নিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এইচআর