প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত চেয়ে ইসিতে চিঠি

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০২৩, ০৮:২৮ পিএম
প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত চেয়ে ইসিতে চিঠি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিতের দাবিতে এবার নির্বাচন কমিশনে (ইসি) লিখিত আবেদন করেছেন প্রার্থীরা। হরতাল-অবরোধে নিরাপত্তা শঙ্কার কথা উল্লেখ করে পরীক্ষা স্থগিতের দাবি জানিয়েছেন তারা।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩ (প্রথম ধাপ) পরীক্ষার্থীদের পক্ষে মো. আশরাফুল ইসলাম এ আবেদন করেন।

আগামী ৮ ডিসেম্বর শুক্রবার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ১৮ জেলায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এরই মধ্যে প্রবেশপত্র ডাউনলোডও শুরু করেছেন প্রার্থীরা। পরীক্ষা শুরুর মাত্র দুদিন আগে তা স্থগিতের আবেদন করা হলো।

সারাদেশে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর লাগাতার হরতাল-অবরোধে সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগের প্রেক্ষাপটে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছাতে সম্প্রতি দুই দফায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বরাবর লিখিত আবেদন করেন প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা।

টানা এক সপ্তাহ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ও পরীক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের পর অবশেষে গত ২৪ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়।

এদিকে, দুই দফা পেছানোর পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে প্রথম ধাপের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য ৮ ডিসেম্বর তারিখ চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক গত ২ ডিসেম্বর থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করছেন প্রার্থীরা। প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের প্রার্থীরা নিজ নিজ জেলার কেন্দ্রে ৮ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত পরীক্ষায় অংশ নেবেন।

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপের পরীক্ষা গত ২৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ৮ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, ২৪ নভেম্বরের পরিবর্তে ১ ডিসেম্বর পরীক্ষা হবে। তবে ২১ নভেম্বর আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় তা পিছিয়ে ৮ ডিসেম্বর নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ১৮ জেলার ৫৩৫টি কেন্দ্রে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ ধাপে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন।

আরএস