ইউজিসির বাজেট বৃদ্ধিসহ ৪ দফা দাবির প্রেক্ষিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচি করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বর থেকে শুরু হয়ে বিজ্ঞান ভবন ও সামাজিক বিজ্ঞান ভবন ঘুরে রফিক ভবনের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
এ সময় তাঁরা প্রশাসনের বাজেট মানি না মানবো না,বৈষম্যের কালো হাত ,ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও,বাতিল বাতিল বাতিল চাই,বৈষম্যের বাজেট বাতিল চাই,ইউজিসির বৈষম্য মানি না মানবো না,বাজেট নিয়ে বৈষম্য, মানি না মানবো না,বৈষম্যের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রত্যেকটা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য ইউজিসি থেকে দ্রুত পর্যাপ্ত বাজেট পায়।কিন্তু আমরা তা পাই না।দেশের যেকোনো সংকটকালেই সবার আগে আমরা এগিয়ে যায় কিন্তু ইউজিসি বাজেটের সময় সবার পিছনে আমাদের রাখা হয়।ইউজিসির বৈষম্যের ছায়াতল থেকে বের হতে দেওয়া হয়না। কিন্তু এখন আর বৈষম্যের কোনো ঠাঁই নেই।আমাদের বাজেট বাড়ানোসহ সকল দাবি মেনে না নিলে জগন্নাথের ভয়ংকর রূপ দেখতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, আমরা চাই, বিশ্ববিদ্যালয় যদি চলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো চলুক, অন্যথায় চিরতরে বন্ধ হয়ে যাক।
পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সকল আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। ইউজিসি চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, "আপনার ইউজিসি চেয়ারম্যান পদে বসতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ত্যাগ রয়েছে। সুতরাং বৈষম্য বন্ধ করুন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আবাসনসহ চার দাবি মেনে নিন।
ইসলামিক ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী সোহাগ বলেন,আমরা জবিয়ানরা ভালো নেই। আমরা বেশি কিছু চাইনি শুধু থাকা খাওয়া চেয়েছি। বিগত সময়ে ইউজিসি জবির সাথে প্রশাসনিকমূলক আচরণ করেছে, এখনো করতে চাচ্ছে।জুলাই বিপ্লবে বৈষম্যের অবসান করতে আমাদের ভূমিকা কারো থেকে কম না।আমরা ইউজিসিক বলতে চাই আমাদের ক্ষেপাবেন না।আমাদের ৪ দফা মেনে নেন।না হলে রাস্তায় রাস্তায় দাবানল জ্বলবে।
আরেক শিক্ষার্থী বলেন গত ২০ বছর আমরা বৈষম্যের শিকার হয়েছি এখনো হচ্ছ। ইউজিসির উচিত ছিল ৫ আগস্টের পরে আমাদের পাওনা ঠিকমতো বুঝিয়ে দেওয়া। কিন্তু তারা আমাদের সাথে প্রহসন শুরু করেছে। ইউজিসিকে বলতে চাই আমরা অধিকার আদায় করতে জানি আমরা আমাদের অধিকার আদায় করে নিবে ।সুষ্ঠুভাবে না দিলে আন্দোলন করে আদায় করে নিবো।
শিক্ষার্থীদের উল্লিখিত চার দফা দাবিগুলো হলো—
১. ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট বৃদ্ধি এবং অন্তত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন ভাতা অন্তর্ভুক্ত করা।
২. দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণ এবং পুরান ঢাকায় ড. হাবিবুর রহমান হল ও বাণী ভবনের নির্মাণকাজ আগামী ১০ মে’র মধ্যে শুরু করা ।
৩. বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি ১৫ দিন অন্তর দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ও হল নির্মাণ কার্যক্রমের অগ্রগতি মুক্তমঞ্চে ব্রিফ করার বাধ্যবাধকতা আরোপ।
৪. আগামী ১৫ মে’র মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা।
বিআরইউ