জবি’র ৩ দফা দাবি

‘শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকরা রাজপথে থাকবেন’

আমার সংবাদ ডেস্ক প্রকাশিত: মে ১৫, ২০২৫, ০১:০১ পিএম
‘শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকরা রাজপথে থাকবেন’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবিতে আন্দোলন চলছে টানা দ্বিতীয় দিন। সরকারের নিরবতায় ক্ষুব্ধ হয়ে এবার শিক্ষকদেরও দেখা গেল রাজপথে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদদীন বলেন, ‘সরকার চরম বিমাতাসুলভ আচরণ করছে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ছি না।’

বেলা সোয়া ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’র সামনে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন তিনি। এর আগে বুধবার রাতে যমুনার সামনেই অবস্থান কর্মসূচি চালিয়েছেন কয়েক শ শিক্ষার্থী।

অধ্যাপক রইছ উদদীন বলেন, ‘গতকাল শিক্ষার্থীদের ওপর যে হামলা হয়েছে, তার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ তো দূরের কথা, কোনও বার্তাই আসেনি। আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিচ্ছি, এই সন্তানরা রাজপথ ছাড়বে না, আমরাও তাদের সাথে থাকব।’

এই ঘোষণার পরপরই আন্দোলনকারীদের মাঝে উচ্ছ্বাস ও উৎসাহ বাড়তে দেখা যায়। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময়ে শ্লোগান দিতে থাকেন—
‘রক্ত লাগলে রক্ত নে, জগন্নাথে হল দে’,
‘তুমি কে আমি কে—জবিয়ান জবিয়ান’,
‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’,
‘জবিয়ানের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না’।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংখ্যা বাড়ছে। শিক্ষকরাও যোগ দিতে শুরু করেছেন।

শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসনের সংকট, প্রশাসনিক দুর্বলতা এবং বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে তিন দফা দাবি তুলে ধরেছে। কিন্তু এখনও সরকার বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তাদের।

এদিকে আন্দোলন ঘিরে যমুনার আশপাশ এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে এখনো কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

সচেতন শিক্ষার্থীরা বলছেন, “আবাসন না থাকায় রাজধানীর উচ্চ ভাড়ায় থেকে পড়াশোনা চালানো দুরূহ হয়ে পড়েছে। আমাদের দাবি যৌক্তিক, প্রশাসনের উচিত দ্রুত বাস্তবায়ন করা।”

প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার (১৫ মে) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে, যেটি আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে শিক্ষকরাও রাজপথে নামার সিদ্ধান্ত নেন।

পরিস্থিতি নজরে রেখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো লিখিত প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

বিআরইউ