শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে অবমাননা এবং শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট ও মব সৃষ্টির অপচেষ্টার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষক সংগঠন জিয়া পরিষদ, ইউট্যাব এবং শাখা ছাত্রদল।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে সংগঠনগুলো।
মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, ইউট্যাবের ইবি শাখার সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন, জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান খান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান, ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ ব ম ছিদ্দিকুর রহমান আশরাফী, আজিজ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এ টি এম মিজানুর রহমান, শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক আবু দাউদ, আহসান হাবীব, আনারুল ইসলামসহ বিএনপিপন্থী শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা “স্বৈরাচার-রাজাকার মিলেমিশে একাকার”, “স্বৈরাচারের আস্তানা ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও”, “এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়, দিল্লি গেছে স্বৈরাচার” ইত্যাদি স্লোগান দেন।
সমাবেশে জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন বলেন, “স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ জিয়াউর রহমানের ছবির ওপর পা দিয়ে তাঁকে অবমাননা করা হয়নি শুধু, বরং তা পুরো জাতির প্রতি অপমানস্বরূপ। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।”
অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন বলেন, “গত বুধবার যা ঘটেছে, তা বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন। শহীদ জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে যে অপপ্রচার চলছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। হাসিনা পালিয়ে গেলেও তাঁর দোসররা দেশে থেকে এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।”
জিয়া পরিষদের সভাপতি ড. ফারুকুজ্জামান খান বলেন, “৫ আগস্টের পর থেকে বিএনপিকে ঘিরে নানা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এই অপপ্রচারের প্রতিবাদ না করে দলীয় নেতৃত্ব ধৈর্য ধরেছে, কারণ দেশের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে।”
শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, “আমরা একটি পরিবর্তিত রাষ্ট্রব্যবস্থা চেয়েছিলাম। কিন্তু এখন জামায়াতের স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্র আর ২০২৪ সালের মানবতাবিরোধী স্বৈরাচার গোষ্ঠী মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। তারেক রহমান আমাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। তাঁকে নিয়ে যে কুরুচিপূর্ণ অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, তা জঘন্য। পাকিস্তানি ও দিল্লিপন্থী গোষ্ঠী এসব করছে। তাদের জায়গা এই বাংলাদেশে নয়।”
ইএইচ