কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিতে বাকৃবিতে পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

বাকৃবি প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ২৮, ২০২৫, ০৬:০৩ পিএম
কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিতে বাকৃবিতে পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রাণিসম্পদ সেক্টরের বৃহৎ স্বার্থে "কম্বাইন্ড ডিগ্রি" (ভেটেরিনারি সায়েন্স অ্যান্ড অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি) চালুর দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার দুপুরে পশুপালন অনুষদের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে উপাচার্যের বাসভবন এবং প্রশাসনিক ভবনের সামনে দিয়ে আবার পশুপালন অনুষদের সামনেই এসে শেষ হয়।

বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন— “জ্বালো জ্বালো, আগুন জ্বালো”, “আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই”, “এক দফা, এক দাবি—কম্বাইন্ড, কম্বাইন্ড”।

এর আগে সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা সকল ক্লাস বর্জন করে কর্মসূচিতে অংশ নেন।

দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাফি আবদুল্লাহ বলেন, “আমাদের চাকরির সুযোগ দিন দিন সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। অনেক প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে কেবলমাত্র ভেটেরিনারি ডিগ্রিধারীরা বা কম্বাইন্ড ডিগ্রিধারীরা আবেদন করতে পারছেন। ফলে আমাদের ডিগ্রির গুরুত্ব দিন দিন কমছে। দেশের অনেক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিমধ্যে কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালু হওয়ায় এই বৈষম্য আরও প্রকট হয়েছে।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃতীয় বর্ষের এক নারী শিক্ষার্থী বলেন, “বিসিএসসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায়ও আমরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। কম্বাইন্ড ডিগ্রিধারীরা অনেক বেশি ক্যাডার ও পদে আবেদন করতে পারলেও আমরা পারছি না। এমনকি ভাইভা বোর্ডে অনেক সময় আমাদের তাচ্ছিল্য করা হয়। পেশাগত জীবনে হাতুড়ে ডাক্তারদের কারণেও আমাদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হচ্ছে।”

শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, দাবি মানা না হলে আন্দোলন চলবে এবং ভবিষ্যতে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এ বিষয়ে পশুপালন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন বলেন, “পশুপালন অনুষদের ডিগ্রির ইতিহাস ৬৫ বছরের পুরনো। এমন একটি স্বতন্ত্র অনুষদকে কম্বাইন্ড করার দাবিকে আমরা শিক্ষকরা যৌক্তিক বলে মনে করছি না। এ নিয়ে সোমবার সকালে একটি বৈঠক হয়েছে, যেখানে শিক্ষকরা কম্বাইন্ড ডিগ্রি বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখাননি।”

ইএইচ