থানচিতে সস্ত্রীক শ্যামল মাওলাসহ সিনেমার টিম অবরুদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: এপ্রিল ৩, ২০২৪, ০৭:২৯ পিএম
থানচিতে সস্ত্রীক শ্যামল মাওলাসহ সিনেমার টিম অবরুদ্ধ

শুটিং করতে গিয়ে সস্ত্রীক গোলাগুলির মধ্যে পরেছেন অভিনেতা শ্যামল মাওলা। তাদের অবস্থানরত হোটেলে ৪০-৫০ রাউন্ড গুলি এসে লেগেছে। সবাই খুব আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। বান্দরবানের থানচি থেকে এক অডিও বার্তায় শুটিং ইউনিটের পক্ষ থেকে এমনটিই জানানো হয়।

গত ১ এপ্রিল শুটিংয়ের জন্য বান্দরবানের থানচিতে যায় ‘নাদান’ নামের সিনেমার একটি টিম। যেখানে সস্ত্রীক গিয়েছেন অভিনেতা শ্যামল মাওলা। আছেন সিনেমাটির পরিচালক ফরহাদ চৌধুরী, অভিনেতা এরফান মৃধা শিবলু ও চিত্রনায়ক সাইফ খানসহ বেশ কয়েকজন।

টানা দুই দিন কাজ করার পর আজ (৩ এপ্রিল) দুপুরে তারা পড়েছেন চরম সংকটের মধ্যে। কারণ বান্দরবানের থানচি উপজেলায় সোনালী ব্যাংকে হামলা চালিয়েছে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা। সেখানে ব্যাপক গোলাগুলি হচ্ছে। তার ঠিক পাশেই একটি হোটেলে অবস্থান করছে সিনেমার পুরো টিম।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শুটিং ইউনিটের বেশ কয়েকজন। জানিয়েছেন, তাদের হোটেলে ৪০-৫০ রাউন্ড গুলি এসে লেগেছে।

বুধবার ৩ এপ্রিল দুপুর সোয়া ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা থানচির সোনালী ব্যাংকে ঢুকে পড়ে। তবে ব্যাংক থেকে টাকা লুট হয়েছে কি-না, বা কত টাকা লুট হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা সম্ভব হয়নি।

চিত্রনায়ক সাইফ খান বলেন, ‘হুট করেই আজ সকাল থেকে পরিস্থিতি খারাপ হয়ে উঠেছে। আমরা হোটেলে অবরুদ্ধ আছি। আশা করছি, ঘণ্টা খানের মধ্যে এই স্থান ত্যাগ করব। আমাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন।’

তিনি জানান, পুলিশ তাদের জানিয়েছে পাহাড়িসন্ত্রাসীগ্রুপ কুকিচিন এ গুলি চালাচ্ছে। 

এদিকে বান্দরবানে যাওয়ার পর থেকেই শ্যাম মাওলার ফোন বন্ধ। গত ১ এপ্রিল তিনি ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জানিয়েছেন, আপাতত নেটওয়ার্কের বাইরে আছেন। কোনো খরব দেওয়ার প্রয়োজন হলে তার স্ত্রী মাহা সিকদারকে জানালেই হবে।

অন্যদিকে, মাহা জানান, থানচির পরিস্থিতি ভালো না। আপাতত এদিকে কারো না আসাই ভালো।

এর আগে বুধবার রাত নয়টার দিকে ৭০ থেকে ৮০ জনের একটি সশস্ত্র দল রুমাতে সোনালী ব্যাংকে হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে ১৪টি অস্ত্র লুট করে এবং সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

এই ঘটনার পর পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের ধরতে এবং অপহৃত ম্যানেজারকে উদ্ধারে যৌথ অভিযানে নেমেছে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

আরএস