২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় থেকেই ট্রাম্প ও মাস্কের ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। নির্বাচনী প্রচারণার বিভিন্ন সভায় মাস্ককে নিয়মিত দেখা যেত।
নির্বাচনের আগেই ট্রাম্প বলেছিলেন, ক্ষমতায় এলে মাস্ককে প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হবে। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, সরকারি ব্যয় সংকোচন ও কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গঠিত হয় নতুন দপ্তর ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি (ডজ)—যার প্রধান করা হয় মাস্ককে।
ডজের দায়িত্ব নেওয়ার পর মাস্ক সরকারি ব্যয় কমানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, যার মধ্যে ছিল হাজার হাজার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাঁটাই, বৈদেশিক সহায়তা স্থগিত এবং অভ্যন্তরীণ গবেষণা খাতে ভর্তুকি কমানো। এই পদক্ষেপগুলো ট্রাম্প প্রশাসনের জনপ্রিয়তা ক্ষুণ্ন করে এবং দেশজুড়ে একাধিক মামলার মুখে পড়ে সরকার।
মাস্কের এই নিয়োগ নিয়ে রিপাবলিকান পার্টির অনেক নেতা ও কংগ্রেস সদস্যরাই অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, কংগ্রেস এখনও ডজকে সরকারি বিভাগ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি।
‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’ ঘিরে বিরোধ
সম্প্রতি কর হ্রাস সংক্রান্ত ‘জনকল্যাণমূলক’ একটি বিলে স্বাক্ষর করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, যেটিকে তিনি বলেন “ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট”। কিন্তু এই বিলকেই কেন্দ্র করে মাস্কের সঙ্গে তার বিরোধ চরমে পৌঁছে।
মাস্কের অভিযোগ, তার নেতৃত্বাধীন ডজ যেসব ব্যয় সংকোচনমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে, নতুন বিলের কারণে সেগুলো ব্যর্থ হয়ে যাবে। তার দাবি, বিলটি তিনি দেখার আগেই কংগ্রেসে পাঠিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। এই ইস্যুতে গতকাল বৃহস্পতিবার নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ জনগণকে বিলের বিরোধিতায় সরব হওয়ার আহ্বান জানান মাস্ক।
ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া
ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, “তিনি (মাস্ক) সবসময় আমার সম্পর্কে খুব সুন্দর কথা বলেছেন, ব্যক্তিগতভাবে কিছু বলেননি।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমার মনে হয়, এটি একটি ব্যক্তিগত বিরোধ। কারণ পর্যায়ক্রমে কর সংস্কারের এই বিলের প্রভাব সরাসরি টেসলার মতো কোম্পানির ওপর পড়বে।”
ইএইচ