‘গাজা উপত্যকায় আইডিএফের অপারেশনাল পরিকল্পনার মূল নকশা’ অনুমোদন করেছেন ‘ইসরায়েলি’ প্রতিরক্ষা বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল ইয়াল জামির। এর মাধ্যমে গাজা সম্পূর্ণ দখলের রোডম্যাপ চূড়ান্ত করল দখলদার ‘ইসরায়েল’।
বুধবার তিনি অনুমোদনপত্রে স্বাক্ষর করেছেন বলে একজন আইডিএফ মুখপাত্র জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আলোচনার অংশ হিসেবে আজ আইডিএফের অভিযান উপস্থাপন করা হয়েছিল, যার মধ্যে গতকাল শুরু হওয়া জেইতুন এলাকায় আক্রমণও অন্তর্ভুক্ত ছিল। রাজনৈতিক মহলের নির্দেশ অনুসারে গাজা উপত্যকার পরবর্তী পর্যায়ের পরিকল্পনার কেন্দ্রীয় ধারণাটি উপস্থাপন এবং অনুমোদিত হয়েছে।’
গত সপ্তাহে ‘ইসরায়েলি’ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজা শহর দখল ও নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। এটি গাজাকে ‘সামরিকীকরণ’ এবং হামাসকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য দীর্ঘমেয়াদি সামরিক অভিযানের অংশ।
এই অভিযানে আইডিএফ-কে এমন এলাকায়ও প্রবেশ করতে হবে, যেখানে ‘ইসরায়েল’-এর ধারণা অনুযায়ী হামাস এখনও জীবিত জিম্মিদের আটক করে রেখেছে। আর যুদ্ধ শেষ করার জন্য নেতানিয়াহু পাঁচটি নীতি ঘোষণা করেছেন। এগুলো হলো- হামাসকে সম্পূর্ণ নিরস্ত্র করা, সব জিম্মিকে মুক্ত করা, গাজাকে সামরিকীকরণ, ‘ইসরায়েল’-এর ব্যাপক নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ এবং অ-ইসরায়েলি, শান্তিপূর্ণ বেসামরিক প্রশাসন গঠন করা।
নেতানিয়াহুর এই পরিকল্পনার তীব্র বিরোধিতা করেছে জিম্মিদের পরিবার। তারা একে তাদের প্রিয়জনদের ‘মৃত্যুদণ্ড’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। ‘ইসরায়েল’-এর ধারণা, হামাসের হাতে এখনও ২০ জন জিম্মি জীবিত আছেন, আর ৩০ জন নিহত জিম্মির মরদেহও তারা ধরে রেখেছে।
গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বুধবার জানিয়েছে, গাজার হাসপাতালগুলোতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২৩ জন নিহত এবং ৪৩৭ জন আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ২১ জন মানবিক সাহায্য সংগ্রহের সময় নিহত হয়েছেন, এবং আরও ১৮৫ জন আহত হয়েছেন। উপত্যকাজুড়ে তীব্র ক্ষুধার কারণে আটজনের মৃত্যুর ঘটনাও রেকর্ড করা হয়েছে।
সূত্র: এবিসি নিউজ, জেরুজালেম পোস্ট, টিআরটি ওয়ার্ল্ড
ইএইচ