অর্থ আত্মসাৎ মামলায় সাহেদের জামিন

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: জুলাই ২৮, ২০২২, ০২:৫৮ পিএম
অর্থ আত্মসাৎ মামলায় সাহেদের জামিন

পদ্মা ব্যাংকের (সাবেক ফারমার্স ব্যাংক) গুলশান করপোরেট শাখার কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) এ বিষয়ে করা আবেদনের শুনানির পর বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন আদেশ দেন। বিষয়টি জানিয়েছেন দুদকের আইজনজীবী খুরশিদ আলম খান।

আদালতে সাহেদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ মাসুদ-উল-হক। দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমী। জামিনের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
 
দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে ২০২০ সালের ২৭ জুলাই সাহেদসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- পদ্মা ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক ওরফে বাবুল চিশতী, তার ছেলে রাশেদুল হক চিশতি এবং রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইব্রাহিম খলিল।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি রিজেন্ট হাসপাতালের নামে পদ্মা ব্যাংকের গুলশান কর্পোরেট শাখায় একটি হিসাব খোলেন সাহেদ। 

হাসপাতালের জন্য ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকায় একটি এমআরআই মেশিন কেনার কথা বলে হিসাব খোলার দিনই সাহেদ ব্যাংকের ব্যবস্থাপকের কাছে ১ কোটি টাকার এফডিআর বন্ধক রেখে ২ কোটি টাকার ঋণের জন্য আবেদন করেন।

মামলায় আরো বলা হয়, ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা না দেখে পরদিন সাহেদের আবেদন ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি সাহেদের সার্বিক অবস্থা তুলে ধরে ২ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদনের জন্য ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান বাবুল চিশতীর কাছে উপস্থাপন করা হলে তিনি তা অনুমোদন করেন।

এরপর ১৯ জানুয়ারি এমআরআই মেশিন সরবরাহকারী একটি প্রতিষ্ঠানকে ২ কোটি টাকার পে অর্ডার ইস্যু করা হয়। ২১ জানুয়ারি শাহজালাল ব্যাংকের উত্তরা মহিলা শাখা থেকে সেই অর্থ তুলে নেওয়া হলেও তা দিয়ে রিজেন্ট হাসপাতালের জন্য কোনো এমআরআই মেশিন কেনা হয়নি বলে জানানো হয় মামলার এজাহারে।

তদন্ত শেষে চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক।


আমারসংবাদ/টিএইচ