স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা মামলায় ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন

আমার সংবাদ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০২৫, ১২:৪৯ পিএম
স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা মামলায় ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন

সিলেটের বিশ্বনাথে চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র সুমেল আহমদ শুকুর হত্যা মামলায় ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক এই রায় ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন।

তিনি জানান, মামলার ৩৪ আসামির মধ্যে ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনকে যাবজ্জীবন এবং বাকি ১৭ জনকে দুই বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— সাইফুল আলম, নজরুল আলম, সদরুল আলম, সিরাজ উদ্দিন, জামাল মিয়া, আব্দুল জলিল, আনোয়ার হোসেন ও মামুনুর রশীদ।

তাদের মধ্যে মামুনুর রশীদ পলাতক। প্রধান আসামি যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাইফুল আলম গ্রেপ্তারের পর থেকে প্রায় চার বছর ধরে জেলহাজতে রয়েছেন।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— ইলিয়াস হোসেন, আব্দুন নুর, জয়নাল হোসেন, আশিক হোসেন, আছকির আলী, আকবর হোসেন ও ফরিদ আহমদ।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ২০২১ সালের ১ মে চাউলধনী হাওরের একটি জমি নিয়ে বিরোধের জেরে চৈতনগর গ্রামের ইব্রাহিম আলী সিজিল গংয়ের রেকর্ডীয় ভূমিতে এক্সক্যাভেটর মেশিন দিয়ে মাটি কাটতে যায় সাইফুল আলম ও তার সহযোগীরা। জমির মালিকপক্ষ বাধা দিলে সশস্ত্র আসামিরা বন্দুক, পাইপগান ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে থানা পুলিশ ও স্থানীয়ভাবে একাধিক বৈঠক করে হামলা চালায়।

হামলার সময় বন্দুকের গুলিতে শাহজালাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র সুমেল আহমদ শুকুর গুরুতর আহত হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সুমেলের বাবা ও চাচাসহ আরও তিনজন গুলিবিদ্ধ হন।

পরবর্তীতে নিহতের চাচা ইব্রাহিম আলী সিজিল বাদী হয়ে ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে বিশ্বনাথ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত শেষে তৎকালীন ওসি (তদন্ত) রমাপ্রসাদ চক্রবর্তী ৩২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলায় মোট ২৩ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। রায়ের পর বাদী পক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে।

উল্লেখ্য, ঘটনার পর সিলেট রেঞ্জের তৎকালীন ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমদ এবং পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। হত্যাকাণ্ডে দায়িত্বে অবহেলা ও আলামত নষ্ট করার অভিযোগে বিশ্বনাথ থানার ওসি শামিম মুসা, এসআই নুর ও ফজলুল হককে ক্লোজ করা হয়।

বিআরইউ/ইএইচ