অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাহেদের জামিন

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৩, ০৩:১৮ পিএম
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাহেদের জামিন

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড পাওয়া রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে তিনি এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না। কারণ তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রয়েছে। সে মামলায় জামিন হয়নি।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের একক বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। সাহেদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আমিনুল ইসলাম ও সৈয়দ জাহাঙ্গীর হোসেন।

আমিনুল ইসলাম জানান, অস্ত্র আইনের মামলায় জামিন না হওয়ায় মোহাম্মদ সাহেদ মুক্তি পাচ্ছেন না।

এর আগে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সাহেদের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন বলে সাংবাদিকদের জানান দুদকের আইনজীবী মোহাম্মদ খুরশীদ আলম খান।

এর আগে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ২১ আগস্ট সাহেদকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার। রায়ে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। রায় ঘোষণার পর তাকে সাজা পরোয়ানাসহ পাঠানো হয় কারাগারে। এরপর আপিল করেন সাহেদ।

২০২০ সালের ১৫ জুলাই সাহেদকে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। এরপর তার নামে প্রতারণা, অনিয়মের নানা অভিযোগ সামনে আসতে থাকে। পরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাহেদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হয়।

কারাগারে থাকাকালে ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর সম্পদের হিসাব চেয়ে সাহেদকে নোটিশ পাঠায় দুদক। নোটিশে ২১ কার্যদিবসের মধ্যে তাকে সম্পদের বিবরণী জমা দিতে বলা হয়। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে তিনি সম্পদ বিবরণী জমা না দেওয়ায় অতিরিক্ত আরও ১৫ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়। সাহেদ এরপরও তা জমা দেননি।

এরপর সম্পদের হিসাব না দেওয়া ও অবৈধভাবে এক কোটি ৬৯ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২১ সালের ১ মার্চ দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী বাদী হয়ে দুদকের ঢাকা জেলা সমন্বিত কার্যালয়-১ এ মামলা করেন।

গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। এরপর গত বছরের ১৭ জুলাই সাহেদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালতে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

সাহেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলা হয়। এরমধ্যে অস্ত্র আইনের একটি মামলায় ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন আদালত।

আরএস